দ্বিতীয় বিয়েতেও মিললো না দাম্পত্য জীবনের সুখ, কেন ভাঙল সংসার? মুখ খুললেন রচনা ব্যানার্জী
সবসময় হাসিমুখে থাকা রচনা ব্যানার্জীর জীবনেও এসেছে অনেক ওঠাপড়া

রচনা ব্যানার্জী মানেই একগাল হাসি নিয়ে দিদি নং ওয়ানের মঞ্চে উপস্থিত হওয়া। তার সঞ্চালনায় যেন প্রতিদিন প্রানবন্ত হয়ে ওঠে দিদি নং ওয়ান রিয়েলিটি শো-এর সেট। মজা আড্ডা খেলার সঙ্গে দর্শকদের মধ্যে পজেটিভ বার্তাও ছড়িয়ে দেন। কিন্তু অনেকের ধারনা থাকে তারকা মানেই তো রঙিন জগত, অসাধারণ বিলাসবহুল সমস্যাহীন জীবন..তাদের কাছে তো জীবন পজেটিভই হবে! কিন্তু জানলে অবাক হবেন সবসময় হাসিমুখে থাকা রচনা ব্যানার্জীর জীবনেও এসেছে অনেক ওঠাপড়া।
ব্যক্তিগত জীবনে বহু মানসিক টানাপোড়েন সঙ্গী ছিল তার। ভালোবাসা বিয়ে বিচ্ছেদ..নিজের জীবনের কষ্টকে আড়াল করে রাখা রচনা ব্যানার্জী সম্প্রতি এই নিয়েই মুখ খুললেন, অকপটেই দিলেন সমস্ত জবাব। স্মৃতির পাতা থেকে উঠে এলো তার জীবনের ভাঙাগড়ার অধ্যায়। জানালেন কেন মিললো না দাম্পত্য সুখ! কেন ভেঙেছিল তার সংসার?
টলিউড অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি একসময় বাংলা এবং উড়িয়া ইন্ডাস্ট্রিতে চুটিয়ে কাজ করেছেন। শোনা যায় ওড়িয়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার সময়কালীন সিদ্ধান্ত মহাপাত্রের সাথে গাটছড়া বাঁধেন তিনি। যদিও এক বছরের মধ্যেই সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। এরপর কলকাতায় ফিরে এসে ব্যবসায়ী প্রবাল বসুর সাথে সম্পর্কে আবদ্ধ হন রচনা। তাদের এক সন্তানও রয়েছে, প্রণীল। তবে ছেলেকে নিয়ে তিনি আলাদাই থাকেন কোন এক অজানা কারণে প্রবালের সঙ্গেও বিচ্ছেদ ঘটেছিল রচনার। ছেলের কথা ভেবে আইনি বিচ্ছেদ না করলেও এখন সিঙ্গেল মাদার হিসেবে ছেলের দায়-দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
সুপারহিট অভিনেত্রী, সুদক্ষ সঞ্চালিকা, একজন ভালো মা কিন্তু ভালো গৃহিনী কি হতে পেরেছেন কি? কি মনে হয় অভিনেত্রীর? “অপুর সংসার” টকশোতে এই প্রশ্নই করা হয়েছিল রচনাকে। সঞ্চালক শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় এই টকশোতে তাকে প্রশ্ন করেছিলেন কি করলে রচনা একজন সুগৃহিনী হতে পারতেন? আর সেই উত্তর এই অভিনেত্রী জানান কম্প্রোমাইজ করলে তিনি ভালো স্ত্রী হতে পারতেন।
তবে রচনা কম্প্রোমাইজ করার বদলে নিজের ক্যারিয়ারেই টিকে থাকতে চেয়েছিলেন। রচনা বলেন “অনেক এডজাস্ট করতে হবে। যারা অভিনয় করেন তাদের অভিনয় জগতের মানুষের সাথে বিয়ে করা উচিত অথবা এই পেশাকে বুঝবেন এমন মানুষকে বিয়ে করা উচিত।” রইল অপুর সংসারে তার মনের কথা শেয়ার করে নেওয়ার সেই ভিডিও।