বিনোদনভাইরাল ভিডিও

সম্পূর্ণ খালি গলায় লতা মঙ্গেশকরের অসাধারন গান গেয়ে মুগ্ধ করল বাঙালি কন্যা প্রীতি, তুমুল ভাইরাল ভিডিও

Advertisement
Advertisement

বর্তমানে সেলিব্রেটি হয়ে উঠেছেন বর্ধমানের সেই ছোট্ট মেয়েটা। জাতীয় টেলিভিশনে রিয়ালিটি শো-তে জিতে গোটা দেশকেই চমকে দিয়েছিলেন ৯ বছরের সেই কিশোরী। বর্ধমান নামটা শুনে প্রথমে নিশ্চয়ই মাথায় আসছে প্রীতি ভট্টাচার্যের কথা। হ্যাঁ একদম ঠিক ধরেছেন এখানে প্রীতির কথাই বলা হচ্ছে। তার কথা গান শুনে সকলেই মুগ্ধ। ফেসবুকে একাধিক ফ্যান পেজ রয়েছে তার। সেখানে একের পর এক গানের ভিডিও দেখে মুগ্ধ হওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। তার ভিডিওগুলি পোস্ট হতেই মুহূর্তে হয়ে যায় ভাইরাল৷

সোনি এন্টারটেইনমেন্ট চ্যানেলের ট্যালেন্ট হান্ট শো ‘সুপারস্টার সিঙ্গার’-এ সেরার শিরোপা মাথায় তুলে নেয় প্রীতি। মা-ঠাকুমার গায়িকা হওয়ার অধরা স্বপ্নপূরণও করেছে এই খুদে। কিন্তু রিয়ালিটি শো তো শেষ। এবার তাহলে কী? ঠিক যেমনভাবে পুরনো চাল ভাতে বাড়ে ঠিক সেরকম ভাবেই প্রীতির গান আজও সকলের মনে রয়ে গিয়েছে।

এবার পুরনো দিনে ফিরে গেল ছোট্ট মেয়ে। সুপারস্টার সিঙ্গারের বছর পূর্তি উপলক্ষে লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া আপ কি নাজরোনে গানটি খালি গ’লায় গাইল প্রীতি। রিয়েলিটি শোয়ের মঞ্চ নয় বরং সোশ্যাল মিডিয়া কাপাচ্ছে প্রীতি তার খালি গলার গানে। প্রীতির গান সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতে দেরি মুহূর্তে ভাইরাল। হাজার হাজার সঙ্গীত প্রেমীর মনে ঝড় উঠেছে প্রীতির গান শুনে। এখনও পর্যন্ত তার ভিডিওটি ১২ হাজার মানুষ লাইক করেছে, বহু মানুষ কমেন্ট করেছেন। লাখের বেশি মানুষ দেখে ফেলেছেন।এককথায় সোশ্যাল মিডিয়া জমজমাট প্রীতির গানে।

প্রীতি যখন ৩-৪ বছরের তখনই টিভিতে কোনও গান চললে বাড়ির কারও কথা বলা পছন্দ করত না। সেই আগ্রহ দেখেই প্রীতির পরিবারের সকলে তাকে গান শেখাতে পাঠায়। বর্ধমানের বাসিন্দা গানের শিক্ষিকা তাপসী ঘোষের কাছে গান শিখত সে। সঙ্গে যেত তার মা-ও। অতঃপর মেয়ের জেদে গান শিখতে থাকেন মা-ও। তারপর তাঁরা জানতে পারেন কলকাতায় প্রতিযোগিতার অডিশন চলছে। সেখানে প্রীতি অনলাইন অডিশন দিতেই সুযোগ পায়। তারপর কলকাতায় তিনটি স্তরে, ও মুম্বইয়ে তিনটি স্তরের অডিশন পাশ করে মুম্বইয়ে মেলে মূল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের টিকিট। ওই রিয়েলিটি শোয়ে একের পর একে গান গেয়ে বিচারক, মেন্টর ও দর্শকদের মন জয় করে ফেলে সে। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। ডাক আসছে নানা ক্লাব, মানুষজনদের থেকেও।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles