বহু বছর ধরে টলিপাড়ায় বন্ধুত্বের ট্যাগ লাগিয়ে চুটিয়ে প্রেম করে দিয়েছেন তারা। তবে আগামী বছরই বিয়ের ফুল ফুটতে চলেছে তাদের জীবনে। এখনও বুঝতে পারছেন না এখানে কাদের কথা বলা হচ্ছে? এখানে টলিপাড়ার মিষ্টি জুটি নীল তৃণার কথা বলা হচ্ছে। যাদের আপনারা চেনেন শ্যামার নিখিল আর সৌজন্যর গুনগুন হিসাবে।
২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি নীল তৃণার চার হাত এক হচ্ছে। বিয়ের জন্য বুক করা হয়েছে শহরের এক অভিজাত ক্লাব। প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। সাবেকি বাঙালি সাজেই সাজবেন তৃণা। রিসেপশন হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র দিন। ইতিমধ্যেই মধুচন্দ্রিমার জায়গা ঠিক হয়ে গিয়েছে তাদের। শোনা যাচ্ছে গ্রিসে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তারকা যুগলের।
বিয়ের আগে চুটিয়ে প্রেম করছেন নীল তৃণা। এরই মাঝে তৃণা নিজের ইন্সটাগ্রামে একটি নতুন ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। যেখানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে একটি পার্কে তৃণা ভারী অপেক্ষায় নীলের। অপেক্ষার মাঝেই হঠাৎ আবির্ভাব হলো নীলের। দেখা হতেই তৃনাকে কোলে তুলে নেয়। ব্যাস তখনই হেঁসে ফেলে তৃণা। রোমান্টিক মুডে ব্যকগ্রাউন্ডে বাজছে ও মেরি জান গান। ভিডিও শেয়ার হতে দেরি মুহূর্তে ভাইরাল। ভিডিও শেয়ার করে আবার ক্যাপশানে ভিডিয়ো তৃণা লেখেন, ‘এইভাবে পার্টনারকে কোলে তুলতে হয়’।
অন্যদিকে কিছুদিন আগেই,সাডি গলি’ গানে তুমুল নাচে নীল-তৃণা জুটি। বন্ধুদের চ্যালেঞ্জ শুরুতেই সেলেব জুটির সঙ্গে নাচে তাদের বন্ধুরাও। বোঝাই যাচ্ছে বিয়ের আগে বেশ ভালই সময় কাটাচ্ছেন তারা। হবে নাই বা কেনও এক দশকের প্রেম নীল ও তৃণার। ২০১১ সালে এমবিএ পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় ক্যাট ক্লাসে তাঁদের দেখা হয়েছিল। সেই মুহূর্তেই তৃণাকে ভাল লেগে গিয়েছিল নীলের। ২০১১ সালেই প্রথম ডেটে গিয়েছিলেন দু’জনে। আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত প্রেমের এই প্রখম পর্যায় চলেছিল। তারপর পড়াশোনার জন্য দিল্লি চলে যান তৃণা। নীল রয়ে যান কলকাতায়। পরে ২০১৫ সালে তৃণার ফেরার পর আবার বন্ধুত্ব শুরু হয়।
২০১৬ সালের ৮ জুন তৃণা বুঝতে পারেন নীল তাঁর কাছে বন্ধুর চেয়েও বেশি। তখনই প্রপোজ করেন। কিন্তু তখন নীল কিছু বলেননি। ঠিক একবছর পর ২০১৭ সালের ২১ জুন বন্ধুদের সামনে তৃণাকে প্রপোজ করেন নীল। তারপর থাইল্যান্ডে একসঙ্গে সময়ও কাটিয়েছেন দু’জনে। ভিডিও কলে আচমকা তৃণাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন নীল। তারপরই শুরু হয় তোড়জোর। পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে দিন ঠিক হয় আগামী বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি।