৮ থেকে ১৩ জুন মহেশ ভাটকে একাধিকবার ফোন করে রিয়া, ১৪ জুন উদ্ধার সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলায় প্রথম থেকেই মূল অভিযুক্ত সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী। সুশান্তের মৃত্যুর কদিন আগে পর্যন্ত তারা একসাথে ছিল। অভিনেতার মৃত্যুর ছয় দিন আগে অর্থাৎ ৮ ই জুন সুশান্তকে ছেড়ে চলে যান রিয়া। আবার সেই দিনই সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার সালিয়ানের মৃত্যু হয়। সুশান্তের মৃত্যু তদন্ত এখন অন্য মাত্রা নিয়েছে। সিবিআইয়ের হাতে এখন তদন্তভার। তদন্তে রিয়া চক্রবর্তীর ফোনের কল রেকর্ড চেক করে জানা গেছে ৮ থেকে ১৩ ই জুন পর্যন্ত রিয়া একাধিকবার ফোন করেছে মহেশ ভাট কে।
টাইমস নাও এর প্রতিবেদন সূত্রে জানা গিয়েছে যে, ৮ ই জুন থেকে ১৩ জুন অর্থাৎ এই ৬ দিনে রিয়ার ফোন থেকে ১৬ বার ফোন গিয়েছে পরিচালক-প্রোযোজোক মহেশ ভাটের কাছে। এর পর দিনই অর্থাৎ ১৪ জুন বান্দ্রার ফ্ল্যাটে সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে সুশান্তের বাবা কেকে সিং বিহার পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করেছেন। তার পরেই বিহার পুলিশ তদন্ত শুরু করে। কিন্তু এই তদন্তভার যাতে বিহার থেকে মুম্বাইয়ে স্থানান্তরিত করা হয় সেই জন্য অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করেছিলেন। এছাড়াও এই তদন্তের স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট রিয়া চক্রবর্তীর দুই আবেদনই খারিজ করে দিয়েছে। তারপরই ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যায়।
জানা গিয়েছে, সিবিআই রিয়া চক্রবর্তী, ও বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী, মা সন্ধ্যা চক্রবর্তী, ভাই শৌভিক চক্রবর্তী, স্যামুয়েল মিরান্ডা ও শ্রুতি মোদী সহ মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে। এই ছয় জনের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, আত্মহত্যায় প্ররোচনা, চুরি, প্রতারণা-সহ আরও অনেকগুলি অভিযোগ রয়েছে। এদিকে রিয়ার বার্ষিক আয় বারো লক্ষ থেকে চোদ্দ লক্ষ হবার পরেও সে কিভাবে মুম্বাইয়ের দুই বিলাসবহুল জায়গায় এত প্রপার্টি কিনছে, সেই বিষয়টি ইডি খতিয়ে দেখছে।