পেটে খিদে থাকলেও হাতে অর্থ না থাকলে, অনুদান চাওয়াকেই ভিক্ষা বলা হয়। আবার হয়ত কারোর পকেটে অনেক অর্থ থাকলেও যাচ্ছেতাই ভাবে খরচের পর পকেট হয়ে যায় গড়ের মাঠ। বিশেষত যারা অল্প বয়সে রঙিন প্রেমের জীবন যাপন করেন তাদেরকে নিজেদের পকেট যখন তখন ধোঁকা দিয়ে দেয়, তা সে ছেলেই হোক বা মেয়ে। অবশ্য বর্তমানে এখন ফেব্রুয়ারী অর্থাৎ প্রেমের মাস চলছে। বিদেশীদের ভ্যালেন্টাইন্স ডে আর বাঙালীদের সরস্বতী পুজো দুটোই প্রায় এক। সকালে বাগদেবীর কাছে অঞ্জলির পরই শাড়ি পাঞ্জাবী পরে বেরিয়ে প্রেমে মন দেন বহু কপোত কপোতীরা। প্রেমের পরশ গায়ে মাখতে হাত ধরে নেমে যান রেস্তোরাঁ বা কলেজের রুমে বা সিনেমা হলে বা পার্কে বা গঙ্গার ঘাটে। আর এই ফাঁকেই কেউ দেদার খরচ করেন প্রেমিক বা প্রেমিকার মন রাখতে, আবার কেউ একটু হলেও চেপে খরচ করেন।
উল্লেখ্য, এই বছরই সরস্বতী পুজো উপলক্ষ্যে বাংলা অভিনেতা তথা রেডিও জকি মীর আফসার আলি এক দমদার মজাদার পোস্ট করলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। মীরকে দেখে চেনাই যাচ্ছে না যে এটাই সেই মিরাক্কেলের মীর। এলোমেলো চুল, দাঁড়ি গোঁফ কামানো নেই, চোখে খিদের ছাপ, মুখ বেজার, গায়ে নোংরা পোশাক, সামনে ভিক্ষার থালা এবং পাশে একটি ক্রাচ। বুধবার সাতসকালে ফেসবুকে এই কাণ্ডটি পোস্ট করেছেন।
এদিন নিজের এই ঝকমারি ছবি পোস্ট করে মীর লিখেছেন, “বাঙালীর প্রেম দিবসের ঠিক পরের দিন ছেলেদের হাল, অবশ্যই এটি একটি সিরিয়াস পোস্ট। তাই লাইক বা কমেন্ট নয়, দুটো টাকা দিয়ে যান প্লিজ”।
এমন উদ্ভট পোস্টটি খুব তাড়াতাড়িই ভাইরাল হয়ে যায়। কমেন্টের বন্যায় ভেসে যায় প্রোফাইল। যদিও, প্রথম দিকে অনেকেই চিনতে পারেননি মীরকে। অনেকে ভেবেছেন, হয়ত এটা সত্যিই কোনো দরিদ্র অসহায় ব্যক্তির ছবি। অবশ্য যারা যারা বুঝেছিলেন তাদের কেউ লিখেছেন, “আমার দেখা সবচাইতে প্রিয় উপস্থাপক, অভিনেতা। যার স্পর্শে চারদিক ঝলমল করে উঠে।” অন্যদিকে আবার কেউ লিখেছেন, “এভাবে ভাবার কোন মানে হয়না, এখন অনেক ক্ষেত্রেই মেয়েরা গিফট দেয়, রেস্টুরেন্টে খাওয়ার বিল দেয়, এমনকি অটোরিকশার ভাড়াও দেয়। তাই, প্লিজ, একপেশে ভাবনা থেকে বের হয়ে আসুন, মীর দা। আপনারা এমন ভাবলে তো মুশকিল হবে। অনেক মানুষ আপনাকে আদর্শ মানে।” সবচেয়ে মজাদার কমেন্ট করেছেন একজন। তিনি লিখেছেন, “দাদা নিশ্চয়ই আপনি এগুলি পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলছেন ..!?”