বিনোদন

থালায় সাজানো সুস্বাদু খাবার, দুঃখ ভরা মনে ধুপকাঠি জ্বালিয়ে মৃত ছেলের শান্তি কামনা ‘মিমি’র

Advertisement
Advertisement

হাজারো চেষ্টাকে বিফল করে দিয়ে চলে গেছে অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর সন্তানসম সারমেয় চিকু। আর সেই শোক থেকে কিছুতেই বেরোতে পারছেন অভিনেত্রী। বহুদিন ধরেই মারণ রোগ ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করছিল মিমির পৌষ্য আট বছরের ল্যাব্রাডর চিকু। চেন্নাইয়ে চলছিলো তার চিকিৎসা, মিমি নিজে চিকুকে নিয়ে বার বার ছুটে গেছেন চেন্নাই, সেখানে তামিলনাড়ুর ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিরেক্টর ডক্টর এস বালাসুব্রহ্মণ্য মিমির পোষ্যের চিকিৎসা করছিলেন। তবে এতো চেষ্টার পরও বাঁচাতে পারিননি। নিজে চিকুকে সমাধিস্থ করে এসে মিমি জানান চিকুর মৃত্যুর খবর।

মিমি সারা পৃথিবী জুড়ে তার দুই সন্তান চিকু আর ম্যাক্স, অভিনেত্রী নিজেও বারবার বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বলেছেন বাড়ি ঢুকে নিজের দুই পোষ্য কে না দেখতে পেলে পাগল হয়ে যান তিনি, আর সেখানেই আজ চিকু আর নেই, সেই বাস্তব যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না মিমি, সন্তানসম চিকু কে সব রকম ভাবেই বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়ে ছিলেন অভিনেত্রী। হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও সময় করে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় চিকুর স্বাস্থ্যের সমস্ত খবরাখবর জানতেন অনুরাগীদের।

চিকুর মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না মিমি, কিছুদিন আগেই চিকুর সাথে একটি পুরনো ভিডিও পোস্ট করে মিমি লিখেছিলেন ‘একবার ফিরে আয় ‘ চিকুর মৃত্যুর পর পোষ্যর দুটি ছবির কোলাজ পোস্ট করে মিমি লিখেছিলেন, আমার হৃদয়ের একটা অংশ তোমার সাথে চলে গেলো। সমস্ত কষ্টের এবার অবসান, মা তোমাকে ভালোবাসে। চিকুর জন্য অভিনেত্রীর হৃদয়বিদারক বার্তা দেখে সকল অনুরাগী মিমিকে সহানুভূতি জানায়।

বাড়িতে ঢুকলেই আগে যেখানে চিকু তার উপস্থিতি অনুভব করতো আজ আর সেখানে নেই প্রিয় পোষ্য, তাই তাকে মনে পড়তেই মিমি ছুটে গেলেন চিকুর সমাধিতে, ধুপ জ্বালিয়ে মালা দিয়ে তার সমাধিতে কাটালেন খানিকটা সময়। সঙ্গে করে নিয়ে গেছিলেন চিকুর সব পছন্দের খাবার। বড় ছেলে চিকু কে স্মরণ করে পথ কুকুর দের সেগুলি খাইয়ে দেন মিমি। চিকুর আত্মার শান্তির জন্য বাড়িতেও পুজো করেন অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় সাদা পোশাকে ধুপ হাতে চিকুর কবরের সামনে বসে থাকতে দেখা যায় অভিনেত্রী কে, মিমির এই ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়েছে।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles