সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই শিরোনামে মহেশ ভাট। সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে মহেশ ভাটের সম্পর্ক নিয়েও উঠেছিল নানান প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্যতম চর্চিত বিষয় মহেশ ভাট। অনেকেই মহেশ ভাটের চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। অনেকেই বলেন বহু নারীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল মহেশ ভাটের।
বিবাহিত মহেশ ভাটের জীবনে আগমন ঘটে সোনি রাজদানের। সেলেবদের খবর চাপা থাকেনা। আর তা যদি হয় প্রেমের। সোনি রাজদানের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর খবরে জানতে পেরে যায় মহেশের স্ত্রী কিরণ। আর তারপরই ১৯৮৬ সালে সোনি রাজদানের সাথে গাঁটছড়া বাঁধেন মহেশ। এর জন্য ইসলাম ধর্মও গ্রহণ করেন তিনি। আর মহেশ সোনির দুই সন্তান আলিয়া ও শাহীন ভাট। তবে, এতটাও সহজ ছিল না তাদের সম্পর্ক। দুই সন্তানের বাবা মহেশ ভাটকে ডেট করা শুরু করবার পর পরিচালকের প্রথম স্ত্রী কিরণ ভাটের সঙ্গে রীতিমতো ঝগড়াঝাটিতে জড়িয়েছিলেন সোনি।
এই প্রসঙ্গে একবার মুখ খুলে ছিলেন মহেশ ভাট। তিনি বলেন, ‘সোনি আমার সবচেয়ে কঠিন সময়ের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছে, যখন আমার মদের নেশা একটা রোগে পরিণত হয়েছিলওই পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া যখন আমি সব ধ্বংস করে ফেলছি, ভীষণরকমভাবে বেদনাদায়ক ছিল ওর জন্য। ও অনেক কিছুর মধ্যে দিয়ে গেছে, আমার অপর পরিবারের সঙ্গে পর্যন্ত ঝামেলায় জড়াতে হয়েছে, তবে কোনওদিন বিষয়টা নিয়ে বড় সমস্যা তৈরি করেনি ও’।
অন্যদিকে, ১৯৯৮ সালে এক সাক্ষাৎকারে প্রেম কাহিনি ও দাম্পত্য সম্পর্কে নিয়ে সোনি রাজদান মুখ খোলেন। মহেশ বিবাহিত তার স্ত্রী সন্তান রয়েছে তাদের প্রতি বিরূপ মনোভাব কি রয়েছে তার? এই প্রসঙ্গে সোনি রাজদান বলেন, ‘ সময়ের জন্য হয়ত ছিল, তবে সময়ের সঙ্গে সেটা বদলে গেছে। এখন আমাদের সম্পর্ক অনেক মজবুত, তবে হ্যাঁ, ঝগড়া তো হয়েছে। যখন বিয়ে হয়নি তখন অনেকবার সমস্যা হয়েছে তবে বিয়ের পর পরস্থিতি অনেকটা বদলে গিয়েছে’।
বলে রাখি, ১৯৬৮ সালে মহেশ ভাট লরেন ব্রাইটকে বিয়ে করেন, বিয়ের পর লরেন নিজের নাম পালটে রাখেন কিরণ। তাঁদের দুই সন্তান পূজা ভাট, রাহুল ভাট। অন্য দিকে মহেশের প্রথম পক্ষের সন্তান পূজা মহেশ দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী সম্পর্কে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন ‘অন্য নারীর জন্য আমার মাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য আমি বাবার প্রতি অবশ্যই মনোক্ষুণ্ন হয়েছিলাম। অবশ্যই আমার বাবাকে ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য আমি সোনিকে ঘৃণা করতাম। ওর নাম শুনলেই আমি তেলেবেগুনে জ্বলে উঠতাম এমনও সময় ছিল’।