‘বাদাম’ গিয়েছে, লাখ টাকার বাড়ি থাকতেও সর্বহারা, ‘আমাকে বাঁচান’ বলেই কেঁদে ভাসালেন ভুবন বাদ্যকর!
ভুবন বাদ্যকারকে কে না চেনে। ‘কাঁচা বাদাম’ গান গেয়ে রীতিমতো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন তিনি। বাংলা সহ দেশের মানুষ তাকে চেনেন। তবে তার এই গান দেশ ছাড়িয়ে অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছিল। তাই গগনচুম্বী জনপ্রিয়তায় ভেসে গিয়েছিলেন ভুবন বাদ্যকার। তবে সেই জনপ্রিয়তা আর বেশিদিন ধরে রাখতে পারেননি। ধীরে ধীরে চর্চার কেন্দ্রবিন্দু থেকে সরে গিয়েছেন তিনি।
বীরভূমের দুবরাজপুরের কুড়ালজুড়ি গ্রামের বাসিন্দা ভুবন বাবু। বাদাম ফেরি করে দিন চলতো তার। বাদাম বিক্রি করার সময় তিনি একটি গান ধরতেন। আর সেই গান তাকে জনপ্রিয়তার শিখরে এনে দেয়। জনপ্রিয়তার জেরে বাড়ি, গাড়ি, প্রতিপত্তি সবই হয়েছিল তার। যদিও গাড়ি চালাতে গিয়ে বিপদের মুখে পড়েন তিনি। তবে যেই সুখের মুখোমুখি কোনোদিন তিনি হতে পারবেন বলে ভাবতে পারেননি এক নিমেষে সবই পেয়ে গিয়েছিলেন ভুবন বাবু।
তবে বর্তমানে তার খারাপ অবস্থা। সকলেী কাছে সাহায্য চাইছেন তিনি। তার রয়েছে একটি ইউটিউব চ্যানেল। আর সেই চ্যানেলে তিনি নিজের নানান গানের ভিডিও পোস্ট করেন। তার জনপ্রিয়তার পর তিনি তার গানে ‘বাদাম’ শব্দটি ব্যবহার করেন। কিন্তু বর্তমানে তিনি তার নিজের ব্যবহৃত শব্দটি আর যোগ করতে পারছেন না গানে। ভুবন বাবু জানিয়েছেন, গোপাল ঘোষ নামের এক ব্যক্তি ইংরেজিতে লেখা একটি চুক্তিপত্রে তাকে সই করিয়ে নিয়েছেন।
এরপর ভুবন বাবুকে তিন লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। চুক্তি হয় রোজগারের ৬০ শতাংশ তিনি নিজে পাবেন এবং বাকি ৪০ শতাংশ গোপাল নামের ওই ব্যক্তি পাবেন। তাই বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমে গান পোস্ট করলেই কপিরাইটের আওতায় আসছে ভুবন বাবুর গান। তিনি আর ‘বাদাম’ শব্দটি ব্যবহার করতে পারছেন না। এই বিষয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছেন তিনি। এই সমস্যা দূর না হলে ভুবন বাবুর গানের ভবিষ্যৎ-এর কি হবে তা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন উঠছে।