দর্শকদের মনোরঞ্জন করার জন্য নিজেদের হাজারো সমস্যা থাকলেও তা চেপে রেখে একমুখ হাঁসি নিয়ে অভিনয় করার চেষ্টা করে অভিনেতা থেকে অভিনেত্রীরা। যারা কমেডিয়ান তারাও চোখের কোনে জলকে আটকে রেখে দর্শকদের মুখে হাঁসি ফোটাতে অবিরাম পরিশ্রম করে। দর্শকরা শুধুমাত্রই সিনেমার রংচঙে দিকটা দেখে, কিন্তু তার পিছনে কত মানুষের চোখের জল বেদনা লুকিয়ে থাকে তারা তা দেখতে পায় না। ঠিক একবার এই রকম পরিস্থিতির সম্মুখিন হতে হয়েছিল জনি লিভারকেও। সেই সময় তিনি কিং খানের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করছিলেন। সেদিনই জনি লিভার জানতে পারেন কিং খান অর্থাৎ শাহরুখ খান আসলে ঠিক কেমন!
শাহরুখ খানের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেননি এরকম অভিনেতা-অভিনেত্রী খুঁজে পাওয়া বেশ কষ্টকর। বি-টাউনের বেশিরভাগ তারকারাই কিং খানের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন। আর সেই তালিকা থেকে বাদ যায়নি জনি লিভারও। বলিউড বাদশার সঙ্গে একাধিক ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে জনি লিভারকে। কিন্তু মানুষের সময় তো সবসময় এক থাকেনা। সেই সময় চলছিল বাদশাহ ছবির শুটিং।
শুটিং স্পটে জনি লিভার থাকলেও অভিনেতার মন ছিল তার বাবার শারীরিক অবস্থার দিকে। কারণ সেই সময় খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন জনি লিভারের বাবা। কিন্তু শুটিং সেটে তা কাউকে জানতে দেননি অভিনেতা। কিন্তু কিং খান যে শুধু কিং খানই নন। তিনি যে মনের দিক থেকেও কিং। আর তাই কেউ জানতে না পারলেও জনি লিভারের বাবার অসুস্থতার কথা ঠিক জানতে পেরে গিয়েছিলেন শাহরুখ খান।
শুধু তাই নয় তা জানতে পেরে খোদ শাহরুখ এসে জনি লিভারকে জানান তিনি যেন মন দিয়ে পাঠ করেন দরকার হলে বলিউড বাদশা নিজে খোঁজ নেবেন জনি লিভারের বাবার। কিং খানের সেই দিনের সাহায্যের কথা আজও মনে আছে জনি লিভারের। তখনই জনি বুঝতে পেরেছিলেন শাহরুখ খান মনের দিক থেকে কত বড় একজন মানুষ। ‘কাভি খুশি কাভি গম’, ‘বাদশা’, ‘কুচ কুচ হোতা হে’ একাধিক ছবিতে শাহরুখ খানের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করতে দেখা গিয়েছে জনি লিভারকে।