সবচেয়ে বেশি ট্যুইট হয়েছে যে হিন্দি ছবিগুলি নিয়ে, তার মধ্যে প্রথম পাঁচটির তালিকা প্রকাশ করল ট্যুইটার। এর মধ্যে প্রতিটি ছবি নিয়েই কোনো না কোনো কারণে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সম্ভবত, সে কারণেই এগুলির নাম উঠে এসেছে সবার উপরে।
দিল বেচারা – প্রয়াত বলিউড তারকা অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর মুক্তি পায় তাঁর শেষ ছবি ‘দিল বেচারা’। ছবিটির শ্যুটিং ২০১৮ সালে হয়ে গেলেও করোনার কারণে পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ পিছিয়ে যায়। সুশান্তের মৃত্যুর আগে ছবিটি নিয়ে খুব একটা আলোচনা হয়নি। কিন্তু ১৪ জুনের পর থেকেই এই ছবিটি নিয়ে দর্শকের আগ্রহ বেড়ে যায়। ছবিটি রিলিজের পর আই এম ডি বি রেটিং-ও ছিল দশের কাছাকাছি, যা নিয়েও শুরু হয় প্রবল বিতর্ক! হলিউড ছবি ‘দ্য ফল্ট ইন আওয়ার স্টারস’-র অফিসিয়াল রিমেক ‘দিল বেচারা’। জন গ্রীনের লেখা উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি এই ছবি। এ সমস্ত কারণের জন্যই এই ছবিটি এ বছরের সবথেকে বেশি চর্চিত ছবির স্থান পেয়েছে।
ছপক – এই ছবিটি অ্যাসিড আক্রান্ত লক্ষ্মী আগরওয়ালের জীবনযুদ্ধ দ্বারা অনুপ্রাণিত। মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন দীপিকা পাড়ুকোন। মেঘনা গুলজারের এই ছবি খুব বেশি দর্শক টানতে পারেনি। কিন্তু মু্ক্তির আগে এই ছবি নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল নেট দুনিয়া। রব উঠেছিল, ‘বয়কট ছপক’! তার কারণ, সে সময়ে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের ধুন্ধুমার চলছিল। মুখে রুমাল বেঁধে কয়েক জন ব্যক্তি লাঠি দিয়ে পড়ুয়াদের আক্রমণ করেছিল। তার প্রতিবাদে দীপিকা সোজা জেএনইউয়ে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সমাবেশে যোগদান করেন। ব্যস, তার পর তিনি আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হয়ে ওঠেন। বাদ যায় না তাঁর প্রযোজিত ‘ছপক’-ও। নেটিজেনরা পক্ষে এবং বিপক্ষে দুই দলে ভাগ হয়ে যান।
তানহাজি : দ্য আনসাং ওয়ারিয়র – অজয় দেবগন ও সইফ আলি খান অভিনীত এই ছবির মুক্তি নিয়েও উত্তাল হয়েছিল ট্যুইটার। অখিল ভারতীয় ক্ষত্রিয় কোলী রাজপুত সংঘ ছবির নির্মাতাদের বিরুদ্ধে পিটিশন দায়ের করেছিল। অভিযোগ ছিল, তানাজি মালুসারের গল্পটি সম্পূর্ণ দেখানো হয়নি।
থাপ্পড় – ‘থাপ্পড়’ ছবিটি মু্ক্তি পেতেই নেটাগরিকরা বলেছিলেন, এই ছবিটি আসলে ‘কবীর সিং’-র মুখে জোর একটা থাপ্পড়! কেন? একটি প্রেমের সম্পর্কে শারীরিক নির্যাতনের ঘটনাকে খুবই স্বাভাবিক বিষয় হিসাবে দেখানো হয়েছিল ‘কবীর সিং’-এ। অন্য দিকে তার কিছুদিন পরেই মুক্তি পাওয়া এই ছবিতে দেখানো হয়েছে, কোনও প্রকার শারীরিক নির্যাতনই কাম্য নয়। সেটা আদপে পুরুষতন্ত্র। তা সে একটি মাত্র থাপ্পড়ই হোক না কেন। তাপসি পান্নু অভিনীত ছবিটিতে এটাই ছিল মূল বক্তব্য। এই নিয়ে প্রচুর আলোচনা হয়েছিল নেট দুনিয়ায়।
গুঞ্জন সাক্সেনা : দ্য কার্গিল গার্ল – শ্রীদেবী কন্যা জাহ্নবী কাপুর অভিনীত ভারতীয় বায়ুসেনার প্রাক্তন আধিকারিক গুঞ্জন সাক্সেনার বায়োপিকটি মুক্তি পায় সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর। তখন স্বজনপোষণ ইস্যুতে বলিউড তোলপাড়। কঙ্গনা রানাউত প্রথম এই সমস্যা নিয়ে কথা বলেন। তার পর থেকেই সুশান্ত অনুরাগীরা স্টারকিড অভিনীত ছবিগুলি বয়কট করতে থাকেন। কিন্তু তার পাশাপাশি এই ছবির ক্ষেত্রে আরও একটি বিষয়ে বিতর্ক শুরু হয়। ভারতীয় বায়ুসেনার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবের বর্ণনায় ক্ষুব্ধ হয়েছিল দেশের একাংশ। অভিযোগ ছিল, এই বর্ণনা আসলেই সত্যি না। ছবিটি যাতে ওটিটি থেকে তুলে নেওয়া হয়, তার জন্য দিল্লি হাইকোর্টে আবেদনও করা হয়েছিল।