কথায় বলে ‘ যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে’।শুধু পড়াশোনা শিখলেই চলবে না তার সাথে সাথে শিখতে হবে রান্নাবান্না। আর বর্তমানে সেইসব পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে কাদম্বিনী। বর্তমানে মেধাবী ছাত্রী কাদম্বিনীকে দিতে হচ্ছে রান্নার পরীক্ষা।
কিন্তু পর্দার কাদম্বিনীর চরিত্রে থাকা অভিনেত্রী ঊষসী কি আদতে জানে রান্না করতে? সেই প্রশ্নের উত্তরে উষসী বলেন ‘এক, কাদম্বিনীর মতো আমিও জীবনে রান্না ঘরে যাইনি। ফলে, পুরোটা বাস্তব হয়ে উঠেছে। যদিও কাদম্বিনী যেমন মাছের গন্ধে নাকে আঁচল চাপা দেন ওটা আমি করি না। দুই, প্যাশনের জন্য মানুষ সোনা মুখ করে অনেক কিছু করে ফেলে। আমিও অভিনয়টাকে নিখুঁত করার জন্য কাজটা করেছি, এবং এক টেকেই ওকে! আর তাই আমার থেকে বড় সাইজের খুন্তি আর কড়াইয়ে রান্না করতে হলেও ব্যাপারটা সামলে নিতে পেরেছি’।
তবে রান্না করতে গেলে হাতে অনেকরই হতে পড়ে ফোস্কা। কিন্তু এক্ষেত্রে কাদম্বিনীর কি হয়েছে? তিনি জানান তার হাতে একেবারেই পড়েনি ফোস্কা।তিনি বলেন তাকে ফুটন্ত তেলে রান্না করতে দেওয়া হয়নি। তাকে শুধুমাত্র মুড়ো ভাজতে দেওয়া হয়েছিল মাঝারি আঁচে। তিনি বলেন সে রান্নার সময় তার মাকে হেল্প করে তাই এটা কোন ব্যাপার না।
কিন্তু এবার কাদম্বিনীকে মুখোমুখি হতে হচ্ছে মাস্টারমশাই দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাপুটে বাবার। কিভাবে সামলাবে তা কাদম্বিনী? সেই উত্তরে ঊষসী বলেন, ছেলে ব্রাহ্ম ধর্মে দীক্ষিত হয়েছে। কোন বাবা সেটা ভাল চোখে দেখবেন? ফলে, সেই অসন্তোষ তো ছিলই। তার ওপর বাড়িতে এক দল যুবতী মেয়ে থাকতে এসেছে পড়াশোনা করবে বলে। তারা নাচছে, গাইছে। ফলে, তিনিও রেগে লাল!
বিড়ম্বনার যেন শেষ নেই কাদম্বিনীর। নিত্যদিন নতুন নতুন পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তাকে। কখনো তাকে ভাঁজতে হচ্ছে মাছের মুড়ো আবার কখনো সম্মুখীন হতে হচ্ছে মাস্টারমশাই দ্বারকানাথের দাপুটে বাবার। আবার কখনো ব্রাহ্মসমাজে গলা চড়িয়ে কথা বলতে হচ্ছে। বর্তমানে নানান সমস্যার মধ্য দিয়ে গেলেও শেষ হাসিটা হয়তো কাদম্বিনী হাসবে।