বিনোদন
Trending

‘ফিরে আসবেই বাংলার বাঘিনী’, রিয়া মুক্তি পেতেই জোর গলায় হুঙ্কার সতীশ মানশিন্ডের

Advertisement
Advertisement

সুশান্ত মৃত্যুরহস্য ভেদে নেমে খুলে যায় বলিউডের মাদকচক্রের মতো এক বন্ধ থাকা পর্দা। আর তারপরেই তদন্তে নেমে নিয়মিত মাদক নেওয়ার অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছিল সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীকে। কিন্তু ২৯ দিন জেলে কাটিয়ে বুধবার জামিন পান রিয়া চক্রবর্তী। রিয়া চক্রবর্তী জামিন পেতেই ফের গলায় জোর রিয়ার আইনজীবীর।

সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ৮১ দিন পর গত ৮ সেপ্টেম্বর এনসিবির জেরার মুখে সব শিকার করে নিয়েছিলেন সুশান্ত বান্ধবী রিয়া। ড্রাগ ও নিয়মিত মাদক সেবন করার অপরাধে সেদিনই গ্রেফতার করা হয়েছিল রিয়া চক্রবর্তীকে। কিন্তু এরই মাঝে মুম্বই হাইকোর্ট বুধবার রিয়া চক্রবর্তীকে জামিন দেয়। এক লক্ষ টাকার বন্ডে মুম্বই হাইকোর্টের জাস্টিস এস ভি কোতওয়াইয়ের সিঙ্গল বেঞ্চ রিয়া চক্রবর্তীকে জামিন দেয়। রিয়া জেল থেকে বাইরে পা রাখতেই সংবাদমাধ্যমের কাছে রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডের দাবি, ‘যতই ঘৃণ্য চক্রান্ত হোক বাংলার বাঘিনী তাঁর লড়াই চালিয়ে যাবেন’।

রিয়ার আইনজীবীর দাবি, ‘বিচারপতি দেখেছেন যে ড্রাগ কেনা হয়েছিল তার পরিমাণ খুবই কম। এই পরিমাণ ড্রাগ কেউ ব্যবসা করার জন্য কিনবে না। আমি হাই কোর্টের কাছে কৃতজ্ঞ যে মাননীয় বিচারপতি তাঁর কাছে জমা দেওয়া সমস্ত নথি খুঁটিয়ে দেখেছেন। সব ইডিয়টদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবেন উনি( রিয়া)’। ওই নির্লজ্জ লোকগুলো ওঁর ইমেজ ধ্বংস করে দিয়েছে। এরাই আবার আমার ইন্টারভিউয়ের জন্য আমার অফিসের বাইরে লাইন লাগায়। বম্বে হাই কোর্ট মিডিয়া ট্রায়ালের ভূমিকা খতিয়ে দেখছে। সুপ্রিম কোর্টও এই মামলায় মিডিয়া ট্রায়ালের ভূমিকা কতটা তা দেখছে। একটি চ্যানেল আমার ফি, আমার গাড়ি ও অফিস নিয়েও আলোচনা চালিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও আক্রমণ হতে দেখেছি আমি। আমার ফি কত তা নিয়ে ওদের মাথাব্যথা কেন! উনি (রিয়া) সুশান্তের লিভ ইন পার্টনার ছিলেন। প্রায় ওঁর স্ত্রীর মতোই ছিলেন’।

উল্লেখ্য, রিয়া চক্রবর্তীকে জামিন দিলেও আদালতের কড়া নির্দেশ মুম্বই ছাড়তে গেলেও তদন্তকারীদের অনুমতি নিতে হবে রিয়াকে। বিদেশ যাওয়া চলবে না। তাঁকে পাসপোর্টও জমা রাখতে বলা হয়। দশ দিন বাদে থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। রিয়ার পাশাপাশি বুধবার জামিন পেয়েছেন স্যামুয়েল মিরান্ডা, দীপেশ সাওয়ান্তরাও। তবে এখনও জামিন পাননি রিয়ার ভাই শৌভিক চক্রবর্তী আর আবদুল বাসিত।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles