যেকোনো সিনেমায় দেখা যায় নায়ক একদল ভিলেনের সঙ্গে লড়াই করে উদ্ধার করে সকলকে। কিন্তু পর্দায় এই দৃশ্যের সঙ্গে পরিচয় থাকলেও বাস্তব জীবনে এরকম নায়কের সংখ্যা কজন দেখেছেন? যারা অন্যদের বাঁচাতে নিজের জীবনের ঝুঁকি নেন?
আজ সে রকমই এক রিয়েল হিরো গল্প শুনবো তাকে ছবিতে বহুবার হিরো চরিত্রে দেখা গেছে। ঝুলিতে রয়েছে অসংখ্য ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড। কিন্তু রিয়েল লাইফের যে তিনি হিরো সেই তথ্য অনেকেরই অজানা। শতাধিক তরুণীকে যৌনপল্লী থেকে উদ্ধার করে মূলস্রোতে ফিরিয়ে দেওয়ার কান্ডারী ছিলেন সুনীল শেট্টি। সালটা 1996। মহারাষ্ট্রের কামাঠিপুরা যৌনপল্লীতে মহারাষ্ট্র পুলিশ আচমকাই হানা দেয়। প্রায় 456 জন মহিলাকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় । তাদের মধ্যে 128 জন ছিলেন নেপালের বাসিন্দা এদেরকে যেহেতু অবৈধভাবে জোর করে এই ব্যবসায় নিয়ে আসা হয়েছিল তাই তাদের কাছে বয়সের, পরিচয়ের কোনো প্রমানপত্র ছিলনা।
এই দিকে নেপাল সরকার ও তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য পয়সা খরচ করতে নারাজ ছিল। অসহায় ঐসব মহিলাদের কান্নার স্বর পৌছেছিল সুনীল সেট্টির কানে। ত্রাতার ভূমিকায় আবিভার্ব হয়ে ঐসব মহিলাদের জন্য বিমানের ব্যবস্থা করেন। তারা যাতে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছাতে পারেন তার পুরো তদারকি ভার নিজের কাঁধে তুলে নেন। ঐসব মহিলাদের পরিচয় যাতে লোকসম্মুখে না আসে, তাদের নিরাপত্তা দিতে মিডিয়ার কাছে খবর দেননি তিনি। নিশব্দে কাজ করে গেছেন।
সেই মহিলাদের মধ্যে একজন ছিলেন চারিমায়া তামাঙ সুনীলের সেই দিনের উপকার তিনি পরবর্তীকালে জানান। সুনীলের এই বিশাল কর্মকাণ্ডের কথা প্রকাশ পেতেই প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন সকলে। শুধুমাত্র সিনেমার পর্দাতেই নয় বাস্তব জীবনেও তিনি যে হিরো তা প্রমাণ করেছেন সুনীল শেট্টি।