বিনোদন

এই মেয়েটিই পারত সুশান্তকে বাঁচাতে! যা জানালেন অভিনেতার ঘনিষ্ঠ বন্ধু

Advertisement
Advertisement

বলিউডের ঝলমলে দুনিয়া থেকে কর্পূরের মতো উবে গেল বছর ৩৪ এর প্রাণবন্ত একটি অভিনেতা, যার মুখে সর্বদা লেগে থাকতো মিষ্টি হাসি। অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের এভাবে চলে যাওয়াটা বলিউডের জন্য নিঃসন্দেহে এক বড়সড় ধাক্কা। মাঝে বেশ কয়েকটি দিন কেটে গেলেও এখনো তার স্মৃতিতে মগ্ন রয়েছে তাঁর সহকর্মী-প্রিয়জন-ফ্যানেরা। তার আত্মহত্যার পেছনে আসল কারণ কি এখনও জানা যায়নি।

সুশান্তের সাথে অঙ্কিতা লোখান্ডে এর প্রেমের কথা কারও অজানা নয়,যদিও তাদের বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল বহুদিন আগেই। চিত্রপরিচালক সন্দীপ সিং সুশান্ত এবং অঙ্কিতা দুজনেরই খুব কাছের বন্ধু ছিলেন। একটা সময় মুম্বইয়ের লোখান্ডওয়ালায় একসাথে থাকত এই তিন বন্ধু। তিনজনই তখন জীবনে কিছু করার জন্য স্ট্রাগল করছিলেন। সুশান্তের মৃত্যুশোক কিছুতেই কাটিয়ে উঠতে না পেরে অঙ্কিতাকে উদ্দেশ্য করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন। সন্দীপ সিং লিখেছেন,‘একটা একটা করে দিন পেরোচ্ছে আর এই কথাগুলো আমাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। মনে হচ্ছে, ইশ আমরা যদি আরেকটু চেষ্টা করতাম । ইশ যদি আমরা ওঁকে আটকাতে পারতাম, আমরা অনুরোধ করতে পারতাম ওর কাছে।’

তিনি আরও বলেন, তোমাদের বিচ্ছেদের এর পরেও তুমি সর্বদা ওর ভালো এবং উন্নতি চেয়েছেন। তোমার ভালোবাসা পুরো খাঁটি ছিল। তুমি এখনও তোমার বাড়ির নেমপ্লেট থেকে ওর নাম সরাওনি। লোখান্ডওয়ালায় আমরা এক সঙ্গে পরিবারের মতো থাকতাম, সেই দিনগুলো এখনও আমি মিস করি। এত এত মুহূর্ত, আজ কাঁদিয়ে ফেলছে আমাকে। এক সঙ্গে রান্না করা, খাওয়াদাওয়া, এসি থেকে জল পড়া, আমাদের স্পেশাল মটন ভাত, গোয়াতে আমাদের লং ড্রাইভ। আমাদের পাগলের মত দোল খেলা সেই হাসিঠাট্টা, জীবনের খারাপ মুহূর্তগুলোতেও আমরা এক সঙ্গে কাটিয়েছি, আমরা একে অপরের জন্য জন্য ছিলাম। সব থেকে বেশি ছিলে তুমি, অঙ্কিতা। সুশান্তের মুখে হাসি ফোটাতে তুমি কত কি না করতে।

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, তোমরা একে অপরের জন্য তৈরি হয়েছিলে। তোমাদের ভালোবাসা সৎ ছিল। একমাত্র তুমিই ওকে বাঁচাতে পারতে অঙ্কিতা। যদি তোমাদের বিয়ে হতো তাহলে সুশান্তকে এইভাবে হারাতে হতো না আমাদের। তুমি ওর কাছে বান্ধবী ছিলে, স্ত্রী ছিলে, মা ছিলে। তুমি ওর প্রিয় বন্ধুও ছিলে। আমিও তোমাকে ভালোবাসি অঙ্কিতা। তোমার মতো বন্ধু যেন কোনোদিন হারাতে না হয়। আমি সহ্য করতে পারবোনা।’

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles