নিউজ বিনোদন ভাইরাল ভিডিও অর্থনীতি লাইফস্টাইল অফবিট খেলা রাজনীতি
Advertisements

৪ সন্তানের বাবা হয়েও ‘বাবা’ ডাক থেকে বঞ্চিত মিঠুন চক্রবর্তী

Mithun Chakraborty: বলিউড এবং টলিউডের একজন বিখ্যাত সুপারস্টার হলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। ব্যক্তিগত জীবনে নানা উত্থান পতন এবং সংঘাতকে সঙ্গে নিয়েই তিনি উভয় ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান করে…

Published By: Sangbad Safar Desk | Updated:
Advertisements

Mithun Chakraborty: বলিউড এবং টলিউডের একজন বিখ্যাত সুপারস্টার হলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। ব্যক্তিগত জীবনে নানা উত্থান পতন এবং সংঘাতকে সঙ্গে নিয়েই তিনি উভয় ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান করে নিতে পেরেছেন। সিনেমার জগতে তার যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৭৬ সালে ‘মৃগয়া’ (Mrigaya) ছবির মাধ্যমে। এরপর তাকে আর পিছন ঘুরে তাকাতে হয়নি। দর্শকদের তিনি উপহার দিয়েছেন একের পর এক হিট ছবি। তবে তিনি সব থেকে বেশি খেতে লাভ করেছেন ‘ডিস্কো ড্যান্সার'(Disco Dancer) ছবি থেকে।

আপনার জন্য নির্বাচিত

Mithun Chakraborty

এরপর একে একে ‘মর্দ’, ‘ফুল অর অঙ্গার’, ‘জল্লাদ’, ‘গুরু’,‘ঘর এক মন্দির’, ‘ওয়াতন কে রাখালে’, ‘চরো কি সৌগন্ধ’, ‘হামসে হে জামানা’, ‘বক্সার’, ‘পেয়ার ঝুকতা না’, ‘জং’ ইত্যাদি বলিউড ছবি এবং ‘বাঙালি বাবু ‘, ‘মহাগুরু’, ‘এম এল এ ফাটাকেষ্ট’ ইত্যাদি একাধিক হিট বাংলা ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। তার স্ত্রীও একজন বলিউডের সুন্দরী অভিনেত্রী। তার নাম যোগিতা বালি (Yogita Bali)। বর্তমানে এই দম্পতির চার সন্তানের বাবা মা। তবে একটি অনুষ্ঠানে সন্তানদের বিষয়ে নিজের একটি আক্ষেপ প্রকাশ করেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)।

প্রত্যেকটি বাবা-ই নিজের সন্তানের কাছে বাবা বা পাপা ডাক শোনার জন্য আকুল হয়ে থাকেন কিন্তু মিঠুন চক্রবর্তী যার সন্তান থাকলেও কেউ তাকে বাবা বলে ডাকে না। রিয়ালিটি শো ‘সুপার ডান্স সিজন ৩’-এ (Super Dance Season 3) এই কথা জানিয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী নিজেই। বাবা হিসেবে সন্তানদের কাছে বাবা বা ‘পাপা’ ডাক শোনার জন্য তিনিও নিশ্চয়ই আকুল হয়েই থাকেন। অবশ্য বাবা বলে না ডাকার কারণ সম্পর্কেও তিনি জানিয়েছেন।

Mithun Chakraborty

আসলে তার জ্যেষ্ঠ পুত্র মিমো ৪ বছর বয়স পর্যন্ত কথা বলতে শেখেনি। এরপর সে যখন কথা বলতে শুরু করে তার প্রথম কথাটি হয় ‘মিঠুন’ (Mithun)। তার পরবর্তী সন্তানরাও দাদার কাছ থেকে এটাই শেখে। এ প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেছিলেন নাকি তার ছেলে মিমোর ডাক্তারকে তিনি অনুরোধ করেছিলেন যাতে মিমো তাকে তার নাম মিঠুন বলেই ডাকে। তখন ডাক্তার অবাক হয়ে বলেছিলেন যে, এই জিনিসটা তো দারুন একটা ব্যাপার। একজন বাবা হয়ে তার ছেলেকে যে এতটা বন্ধুর মতো সম্মান দেবে এটাই তো এখনকার দিনে দরকার। তারপর থেকে মিমোর ভাই-বোনেরাও তাকে ‘মিঠুন’ বলেই ডাকতে শুরু করে।