করোনা কাঁটায় থরহরিকম্প গোটা দেশ তথা বিশ্ববাসী। সংক্রমণ এড়াতে অনেকেই বর্তমানে গণপরিবহন এড়িয়ে চলতে চাইছেন। গণপরিবহন চালু হলেও একাধিক জায়গায় চলছেনা ট্রেন মেট্রো, যার জেরে বাসে হচ্ছে বিপুল পরিমাণে ভিড়। সেই ভিড় এড়াতে অনেকেই বেঁছে নিচ্ছে নিজেদের গাড়ী অথবা বাইক- স্কুটিকে। একে করোনা অপরদিকে অতিরিক্ত গাড়ির ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। সেই সব কথা ভাবাচ্ছে গাড়ির সংস্থাগুলিকে। ফলে বড় বড় গাড়ির নির্মাণকারী সংস্থা গুলি মজেছে ব্যাটারি চালিত গাড়িতে। তারা বাজারে আনছে একের পর এক ই–গাড়ি, এবার সেই তালিকাতে নাম লেখালো ভলভো।
কঠিন সময় অতিরিক্ত দাম বেড়েছে জ্বালানির। যার জেরে মধ্যবিত্তর পকেট ধরেছে টান। অন্যদিকে অতিরিক্ত ধোয়ায় পরিবেশে বাড়ছে দূষণের পরিমাণ। বাইক হোক বা চার চাকার গাড়ি, সেটি যদি ব্যাটারি নির্ভর হয়, তাহলে একদিকে যেমন খরচ অনেকটা কমে যেতে পারে, তেমনই অন্যদিকে বাঁচতে পারে পরিবেশ। এবার ভলভো ঘোষণা করেছে একটি ইলেকট্রিক গাড়ির। সেই গাড়ির মডেল নম্বর XC40।
নতুন ইলেকট্রনিক গাড়িতো লঞ্চ করতে চলেছে ভলভো। কিন্তু তাতে কি কি সুবিধা পাচ্ছেন ক্রেতারা, আসুন দেখে নেওয়া যাক। জানা যাচ্ছে, এই গাড়িতে থাকছে শক্তিশালী 78kWh ব্যটারি। এমনকি গাড়িতে চার্জ দিতেও বেশি সময় লাগবে না । কারণ এই গাড়িতে থাকতে পারে ১১ কিলো ওয়াটের এসি চার্জার অথবা ১৫০ কিলো ওয়াটের ডিসি চার্জার। গাড়িটিতে ৮০ শতাংশ চার্জ হবে মাত্র ৪০ মিনিটে। এই গাড়িটির চার্জিং পয়েন্ট থাকছে গাড়িটির পিছন দিকে। এর আগে চার্জিং পয়েন্ট থাকত সামনের দিকে। ইলেকট্রিট এসইউভি গাড়িটি বর্তমান XC40–এর থেকে স্টাইল ও লুকের দিক থেকে অনেকখানি আলাদা এমনটাই দাবি সংস্থার।
এবার আসা যাক গাড়ির মাইলেজ প্রসঙ্গে। যা শুনলে আপনি অবাক হতে বাধ্য, এই গাড়িতে একবার ফুল চার্জ দিলে এই গাড়িটি চলতে পারে ৪০০ কিলোমিটার পথ। এরকম শুনেছেন আগে কখনো! যা আগে কেউ করেনি তাই এবার সত্যি করছে ভলভো। এছাড়া, গাড়িতে থাকছে শক্তিশালী ইলেকট্রিক মটোর। যার সাহায্য এটি মাত্র ৪.৯ সেকেন্ডে ১ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতিতে পৌঁছে যেতে পারে। সংস্থার দাবি বাজারে যত গাড়ি আছে কোনও গাড়ি এই গাড়ির মাইলেজ এর কাছাকাছি পৌঁছতে পারেনি। এই গাড়ি বাজারে আসলে মানুষের মধ্যে চাহিদা তুঙ্গে থাকবে। নতুন ই-গাড়ি আগামী বছরই বাজারে আনতে চলেছে এই সংস্থা।