প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতকে যে ডিজিটাল ইন্ডিয়া করার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন তার পুরোটা সফল না হলেও কিছুটা হলেও সফল হয়েছে। এবার নরেন্দ্র মোদী ‘আত্মনির্ভর’ ভারত’ এর আহ্বান দিলেন অর্থাৎ গোটা দেশকে আত্মনির্ভর করে তোলার ডাক দিলেন। প্রধানমন্ত্রী বললেন,‘স্বামী বিবেকানন্দ একসময় দেশে প্রস্তুত দ্রব্যে মাধ্যমে আত্মনির্ভরতার বাণী দিয়েছিলেন’। সেই পথ ধরেই এগোবে ভারত। কদিন আগেই চীনা পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন মোদীজি। প্রধানমন্ত্রীর প্রধান উদ্দেশ্য হল,দেশীয় দ্রব্যের ব্যাবহারের মধ্যে ভারত যেন আত্মনির্ভরশীল হয়, বিদেশি জিনিসের ওপর নির্ভর করতে না হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশকে আত্মনির্ভরশীল করতে দেশীয় উদ্যোক্তাদের ব্যবসায় আগ্রহী করতে হবে। এছাড়া দেশের ছোট ও মাঝারি শিল্পগুলোর ওপর আরও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। এছাড়া এসেনসিয়াল কমোডিটিজ অ্যাক্টের সংশোধনের মাধ্যমে চুক্তিচাষের মাধ্যমে দেশের কৃষি ও শিল্পকে একসূত্রে বাঁধতে চলেছেন তিনি। যার ফলস্বরূপ কৃষকরা নিজেদের ইচ্ছামতো যেখানে ইচ্ছে তাদের উৎপাদন বিক্রি করতে পারবে। যার ফলে কৃষকদের লাভের পরিমাণ অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে। অনেকে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর এই আশ্বাস যদি সত্যি হয় তাহলে কৃষকরা তাদের ফসলের মূল্য পাবে। এর ফলে কোনো কৃষককে ফসলের মূল্য না পাবার কষ্টে আত্মহত্যা করতে হবেনা।
এখানেই শেষ নয় তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে কলকাতা সম্পূর্ণ পূর্ব ভারতকে উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে গিয়ে ফের একবার বৃহৎ নেতৃত্ব প্রদানকারী স্থান হতে পারে। তিনি প্লাস্টিক দ্রব্য বর্জনের কথা বলতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের পাট এর কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, প্লাস্টিক দ্রব্য বর্জন করে যদি পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার বৃদ্ধি করা যায় তাহলে পশ্চিমবঙ্গে পাটশিল্পের ব্যাপক চাহিদা বাড়বে। তিনি আরও বলেন, একবার ভেবে দেখুন যখন দেশের প্রতিটা মানুষের হাতে পাটের তৈরি ব্যাগ বা থলে থাকবে তখন ভাবুন পশ্চিমবঙ্গের পাট শিল্পের কতটা উন্নতি হবে।