নদীয়া সংবাদনিউজরাজ্য

নদীয়ার শান্তিপুরের সেনবাড়ির পুরনো দুর্গাপূজা এবার আনুমানিক ৪০০ বছরে পদার্পন করল

মৃৎশিল্পী নারায়ন বাবু বংশপরম্পরায় এই সেনবাড়িতে প্রতিমা তৈরি করে আসছেন।

Advertisement
Advertisement

মলয় দে নদীয়া – সেনবাড়ির বর্তমান প্রজন্মের জ্যেষ্ঠ পুত্র শান্তিপুরের সেনপাড়ায় বড়বাবু নামে পরিচিত। কলকাতার ভবানীপুর কাঁসারিপাড়ায় থাকলেও ছোট ভাই জয়নারায়ন সেনগুপ্তকে সাথে নিয়ে রথ যাত্রার দুর্গামায়ের পাট পুজোর দিন এবং পুজোর পঞ্চমীর দিন প্রতিবছর উপস্থিত থাকেন শান্তিপুরে সেনপাড়া জন্মভিটেয়।

কেষ্ট নারায়ন সেনগুপ্ত অর্থাৎ ছোট বাবু তিনি রথের কয়েকদিন আগে অগ্রিম অর্থ পাঠিয়ে প্রতিমার দায়িত্ব দেন বংশপরম্পরায় মৃৎশিল্পীর কাজ করে আসা বাগআঁচড়া গ্রামের নারায়ন পালকে। মৃৎশিল্পী নারায়ন বাবু বংশপরম্পরায় এই সেনবাড়িতে প্রতিমা তৈরি করে আসছেন, পুত্র সন্তান না থাকায় তিনি অনুমান করছেন পাঁচপুরুষের এই ধারাবাহিকতা শেষ হবে হয়তো তার মৃত্যুর পর।

সেনবাবু বাড়ির বর্তমান কেয়ারটেকার সুবোধ অধিকারী জানান, তার যখন তিন বছর বয়স তখন প্রথমে এই বাড়িতে আসা। বাবা-মা তৎকালীন সময়ে এই একই দায়িত্বে ছিলেন। মাঝে অবশ্য শান্তিপুর চাঁদুনি পাড়ার পুরোহিত গৌরমোহন ভট্টাচার্য দীর্ঘদিন যাবত এই বাড়িতে থেকে সারা জীবন কাটিয়েছেন। এই বাড়ি সহ শান্তিপুরের বিভিন্ন মন্দিরের পুজো করে তিনি  দিন কাটিয়েছেন । তিনিও গত হয়েছেন প্রায় ১৮ বছর হয়ে গেলো।

এত বড় বাড়িটায় বর্তমানে সুবোধ বাবু এবং তার পরিবার অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন। তবে সাবেকি এই বাড়ির আশেপাশে অনেক আত্মীয়-স্বজন সকলেই মিলিত হন পুজোর কটা দিন। বিজয় দশমীর দিন কলকাতায় ফিরে যান বড় বাবু ছোট বাবুর পরিবার। কিন্তু দুই ভাই আবারও আসেন লক্ষ্মী পুজোর দিন। অর্থাৎ দুর্গাপুজো শেষ হয় লক্ষ্মী পুজো দিয়ে।

Related Articles