নদীয়ার শান্তিপুরে পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে গভীর রাতে বোমাবাজি
গতকাল রাতে প্রধান তপতী বসাকের বাসভবন অর্থাৎ দু'নম্বর নতুন ফুলিয়া মাঠপাড়ার বাড়িতে পরপর দুটি বোমা নিক্ষেপ করা হয়।
মলয় দে নদীয়া:- কিছুদিন আগেই পঞ্চায়েত অফিসে এসে প্রধান, উপপ্রধানকে না পেয়ে ভেঙে দিয়ে যায় সমস্ত সরকারি অফিসের চেয়ার টেবিল। এরপর উপপ্রধানের বিরুদ্ধে কম্পিউটার চুরির অপবাদ পাল্টা অভিযোগ করা হয়। অবশেষে গতকাল রাতে প্রধান তপতী বসাকের বাসভবন অর্থাৎ দু’নম্বর নতুন ফুলিয়া মাঠপাড়ার বাড়িতে পরপর দুটি বোমা নিক্ষেপ করা হয়।
গতকাল রাত বারোটা নাগাদ বাইরের গ্রিলের দরজার উপরের সানসেটে হঠাৎ একটি বোম বাস্ট করে, ক্ষণিকের মধ্যে আরেকটি। শান্তিপুর থানায় ফোন করার পরে পুলিশ এসে দেখে যান সমস্ত বিষয়টি। আজ সকালে লিখিত অভিযোগ করেন ওই অঞ্চলেরই তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি এক নম্বর পঞ্চায়েত সদস্য, প্রাক্তন উপপ্রধান সুনীল বসাকের বিরুদ্ধে।
প্রধান তপতী বসাক জানান, ‘আগেরবার বেলঘড়িয়া একনম্বর পঞ্চায়েতের উপ প্রধান ছিলেন সুনীল বসাক, এবং প্রধানও তাঁর ছিল খুব ঘনিষ্ঠ। পঞ্চায়েতে নানান দুর্নীতির কারণে এবার তাদের প্রধান উপপ্রধান এর দায়িত্ব দেয়নি দল। উপ প্রধান হিসেবে নমিতা বসাক এবং প্রধান হিসেবে আমাকে অর্থাৎ তপতী বসাককে প্রধান মনোনীত করেন সদস্যরা। সেই থেকেই উনার আমাদের উপর রাগ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আর এরপর থেকেই নানাভাবে পঞ্চায়েতে অন্য সদস্যদের মধ্যে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করে একের পর এক ক্ষতি করে চলেছেন পঞ্চায়েতের এবং দলের। তাই অবশেষে মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছি। অভিযোগ জানিয়েছি শান্তিপুর থানায় এবং দলীয় ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বর কাছে।’ এই ব্যাপারে সুনিল বসাক জানান, ‘এটা ওদের নিজস্ব ব্যাপার, প্রশাসনের উপর পূর্ণ আস্থা আছে সঠিক তদন্ত করলে সমস্তটাই বুঝতে পারবে। আমার বদনাম করতে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। দলকেও জানিয়েছি বিষয়টি।’