নদীয়ার শান্তিপুরে সন্ধেবেলায় দরজা ভেঙে আলমারি থেকে কয়েক হাজার টাকা চুরি
দরজা খুলতেই দেখা যায় আলমারি এবং লকার দুটোই খোলা রয়েছে।
মলয় দে নদীয়া:- লকডাউনে কর্মহীন হওয়ার পরেই কি বাড়ছে চুরির প্রবণতা ! গতকাল সন্ধ্যায় নদীয়ার শান্তিপুর শহরের এক নম্বর ওয়ার্ডের বাগচীর বাগান এলাকায় কুমারেশ হালদার স্থানীয় এক নম্বর রেল গেটে অস্থায়ী ফলের দোকান। তার মা মিরা হালদার অন্যের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন।
গতকাল বিকালে বাড়িতে শুধুমাত্র কুমারেশ বাবুর স্ত্রী একা ছিলেন, ঘরের আলো জ্বালিয়ে, দরজায় শিকল তুলে, বাঘের গ্রিলে তালা দিয়ে আলমারি এবং লকারের চাবি নিয়ে কিছুক্ষণের জন্য স্বামীর ফলের দোকানে, প্রয়োজনীয় কাজ সেরে কুড়ি মিনিটের মধ্যে ফিরে এসে দেখেন, তার ঘরে জ্বালিয়ে যাওয়া আলো নিভে গেছে। প্রথম সন্দেহটা তখনই হয়েছিলো! তারপর দেখেন গ্রিলের তালাই নেই। কিন্তু দরজায় শিকল দেওয়া আছে।
দরজা খুলতেই দেখা যায় আলমারি এবং লকার দুটোই খোলা রয়েছে। ব্যবহারেরশাড়ির ভাঁজে রাখা ১৯ হাজার টাকা, এবং অন্য একটি শাড়ির ভাঁজে ৩১ হাজার টাকা উধাও। তবে গয়না ছিলনা ঐ লকারে। অন্য কিছুও খোয়া যায়নি। এ ব্যাপারে কুমারেশ বাবুর স্ত্রী জানান ব্যাংকে অত্যাধিক ভিড় হওয়ার কারণে এবং স্বামীর ব্যবসায় প্রতিদিন ফল কিনতে নগদ টাকার প্রয়োজন হয় তাই আলমারির লকারে রাখা হয় দীর্ঘদিন ধরে। এ বিষয়ে কে বা কারা করেছে তা নিশ্চিত নই শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা করছি।