করোনা মহামারীর কারণে এবার নদীয়ার শান্তিপুরে রাসের হ্রাস টানতে রাইরাজাহীন শোভাযাত্রা
এছাড়াও তাদের সিদ্ধান্ত প্রথম রাসের দিন থেকে রাসমঞ্চে তাদের ইষ্টদেবতা রাধারমণকে রাত বারোটা পর্যন্ত রাখা হবে।
মলয় দে নদীয়া :- ইতিহাস প্রসিদ্ধ ভাঙ্গারাসের শোভাযাত্রায় এই বছর দেখা যাবে না বড়গোস্বামী বাড়ির রাইরাজা। এর আগে নবদ্বীপেও একাধিক বারোয়ারি বিগ্রহ বাড়ি ভাঙ্গা রাসের শোভাযাত্রা থেকে নিজেদের বিরত রাখবেন বলেই জানান। গতকাল ২৯ অক্টোবর বড়গোস্বামী বাড়ির কর্তৃপক্ষ এক সভায় সিদ্ধান্ত নেন, করোনার কারণে এবছরের ভাঙ্গারাসের শোভাযাত্রা তারা আড়ম্বর হীন রাখতে চান, শুধুমাত্র নিয়ম রক্ষার শোভাযাত্রায় দেখা যাবে তাদের ইষ্টদেবতা রাধারমণ জিউ।
এছাড়াও তাদের সিদ্ধান্ত প্রথম রাসের দিন থেকে রাসমঞ্চে তাদের ইষ্টদেবতা রাধারমণকে রাত বারোটা পর্যন্ত রাখা হবে। তারপর আবার মূল মন্দিরে স্থানান্তর করা হবে। যা এতদিন সারারাত দর্শনার্থীদের জন্য রাসমঞ্চে রাখা হতো। হাজার হাজার বহিরাগত পুণ্যার্থীদের জন্য আশ্রয় শিবির দেখা যায় বিভিন্ন বিগ্রহ বাড়িতে। গনপরিবহন ব্যবস্থার অন্যতম সুলভ পরিবহন ট্রেন বন্ধ থাকায়, তাদের আগমন সম্ভবপর হয়ে উঠবে না।
এমনকি নবদ্বীপের ভাঙার রাস দর্শন করে পূণ্যার্থীদের জনপ্লাবন শান্তিপুরে আছড়ে পড়বে না বলেই মনে করেন বিভিন্ন বিগ্রহ এবং বারোয়ারীর অভিজ্ঞরা। প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায় আনন্দ উচ্ছাসের বেশ কিছু বিষয়ে লাগাম টানতে চলেছেন তারা। দুর্গাপূজায় নিয়ম খানিকটা শিথিল করার পর বেপরোয়া হয়েছে বিসর্জন ঘাটে। তবে কালীপুজো দেখার পরে তবেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তারা। বিভিন্ন বারোয়ারি পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অত্যন্ত সচেতনতার সাথে নিয়ম রক্ষার্থে কোনোরকমে পুজো সারবেন তারা।