করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়া সত্ত্বেও মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দিতে নারাজ, অবশেষে মহকুমা শাসকের তৎপরতায় সমাধান
রেপিড টেস্ট নেগেটিভ আসা সত্ত্বেও মৃতদেহ সৎকারের জন্য পরিবারের হাতে তুলে দিতে নারাজ হন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
মলয় দে নদীয়া:- শান্তিপুর শহরে এক নম্বর ওয়ার্ডের অদ্বৈত লেনের কল্যানী সরকার ৮০ বছর বয়স্কা,বার্ধক্য জনিত সমস্যা নিয়ে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে গত কাল সকাল দশটা নাগাদ ভর্তি হন। সন্ধ্যে ছটা নাগাদ তিনি মারা যান। রেপিড টেস্ট নেগেটিভ আসা সত্ত্বেও মৃতদেহ সৎকারের জন্য পরিবারের হাতে তুলে দিতে নারাজ হন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তারা পরামর্শ দেন সরকারি সমস্ত প্রটোকল মেনেই যাতে মৃতদেহ তাড়াতাড়ি পাওয়া যায় তার জন্য একটি আবেদন করতে বলেন। পরিবারবর্গ সেই মোতাবেক একটি আবেদন করে! রানাঘাট মর্গ থেকে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ডোম “বাচ্চু” এসে ৫০০০ টাকার দাবি করে। কিন্তু পরিবারবর্গ যখন দেখে সমস্ত সরকারি নিয়ম মেনেই মৃতদেহ পরের ৩ দিন বাদে পাওয়া যাবে! তখন টাকা দিতে অস্বীকার করলে বচসা, অশ্রাব্য গালিগালাজ করে, প্রশাসনিক কোন কেউ এ বিষয়ে তার কিছু করতে পারবে না বলে হুমকি দেয় ।
হাসপাতাল সুপারেন্টেন্ড বিষয়টি মহকুমা শাসককে জানালে আজ দুপুর বারোটা নাগাদ শান্তিপুর জেনারেল হাসপাতালে রোগীর পরিবারের কাছ থেকে সমস্ত বিষয় শুনে, হাসপাতাল সুপারেন্টেন্ড জয়ন্ত বিশ্বাস এর সাথে দীর্ঘ বৈঠক করার পর বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন। মৃতার পুত্র জয়দেব সরকারকে ডেকে মহকুমা শাসক মৃতদেহর সরকারি ব্যবস্থায় সৎকারের যাবতীয় ব্যবস্থা করেন। প্রশাসনিক সমন্বয়ের অভাবে এ ধরনের গাফিলতি কার্যত স্বীকার করে নেন মহকুমা শাসক।