নদীয়ার শান্তিপুরে এক যুবককে বেধড়ক মারধরের পর সর্বস্ব লুট করে পাড়ার অন্য দুই যুবক, অভিযোগ দায়ের থানায়
রাজু বিশ্বাস জানান তার সাইকেল, মোবাইল, সাড়ে চার হাজার টাকা, এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স সবটাই ছিনিয়ে নিয়েছে তারা।
মলয় দে নদীয়া:- দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ নদীয়ার শান্তিপুর ঢাকা পাড়ার একটি বাগানে এক যুবককে গাছে বেঁধে ছিনতাই এবং মারধরের অভিযোগ উঠল অন্য দুজন যুবকের বিরুদ্ধে। শান্তিপুর শহরের এক নম্বর ওয়ার্ডের অঞ্চলের বাসিন্দা ২২ বছর বয়সী রাজু বিশ্বাস পিতা কৃষ্ণ বিশ্বাস পেশায় মোটরগাড়ি চালক।
গতকাল দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ শান্তিপুর ঢাকাপাড়া দিয়ে সাইকেলে বাড়ি ফিরছিলো, হঠাৎই তার কাছে ২০০ টাকা চায় শুধুমাত্র মুখচেনা অপর দুই ড্রাইভার বাপন এবং বাপি যার ঠিকানা বা পদবী কোনটাই জানা নেই অভিযোগকারী রাজু বিশ্বাসের। টাকা দিতে অস্বীকার করায় দুজনে মিলে রাজু বিশ্বাসকে নিয়ে যায় একটি বাগানের ভেতরে সেখানে পড়ে থাকা একটি দড়ি দিয়ে হাত বাঁধে গাছের সাথে।
তারপর বেধড়ক মারধর করে, অজ্ঞান হয়ে যায় রাজু বিশ্বাস। একটি বাচ্চা ঘটনাটি দেখে পাড়ায় খবর দিলে পাড়ার ছেলেরা আসার আগেই চম্পট দেয় ওই দুই যুবক। ঘটনাস্থল থেকে রাজু বিশ্বাসের বাবা কৃষ্ণ বিশ্বাসকে ফোন করলে তিনি ছুটে আসেন জ্ঞান হারানো ছেলেকে নিয়ে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এরপর জ্ঞান ফিরলে রাজু বিশ্বাস জানান তার সাইকেল, মোবাইল, সাড়ে চার হাজার টাকা, এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স সবটাই ছিনিয়ে নিয়েছে তারা এবং এই মর্মে একটি লিখিত অভিযোগ শান্তিপুর থানায় জমা করে রাজু বিশ্বাস। বাবা কৃষ্ণ বিশ্বাসের দাবি তার ছেলের বাঁ দিকের চোখ, কান এবং হাত গুরুতর জখম হওয়া সত্বেও শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি রাখেনি।
এমনকি ওই যুবকদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে প্রশাসনিক তৎপরতাও লক্ষ্য করছেন না। পরিবারের পক্ষ থেকে কঠোর শাস্তির দাবি করা হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায় পদবী এবং ঠিকানাবিহীন ওই দুই যুবককে খুঁজে পেতে সমস্যা হচ্ছে তবে চেষ্টা চলছে।