নিউজরাজ্য

পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়বে বিধ্বংসী টর্নেডো! হাই অ্যালার্ট জারি রাজ্যের এই জেলায়

Advertisement
Advertisement

Weather Update: তাপ প্রবাহের হাত থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন দক্ষিণ বঙ্গবাসী। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা পাওয়া গিয়েছে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের। আর এতেই কিছুটা হলেও শান্ত হয়েছে পরিবেশ। যদিও এরই মাঝে আবার শোনা গেল প্রকৃতির রুদ্ররূপের কথা। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছিল, মঙ্গলবার থেকে টানা বেশ কয়েকদিনের জন্য ঝড় বৃষ্টির দেখা পাওয়া যাবে বঙ্গ জুড়ে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বইবে হাওয়া। তাহলে কী টর্নেডো আঁছড়ে পড়বে সুন্দরবনের বুকে? এই প্রশ্নই জেগে ছিল এলাকাবাসীর মনে। এবার মিলল সেই প্রশ্নের জবাব।

আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছিল প্রবল বৃষ্টির জেরে উত্তাল হতে পারে সমুদ্র। আর তাই মৎস্যজীবীদের জন্য জারি করা হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। এমনকি সমুদ্রের পাশাপাশি স্থানীয় নদী এবং খাঁড়িতে যাতে মাছ ধরতে না যান মৎস্যজীবীরা সেই সতর্কবার্তা করা হয়েছিল জারি। এলাকায় ঘুরে ঘুরে মাইকিং এর মাধ্যমে প্রচার চালিয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেছিল পুলিশ প্রশাসন। এই খবর প্রকাশ্যে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন এলাকার মানুষেরা। তাপ প্রবাহের হাত থেকে মুক্তি পেতে না পেতেই নতুন করে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কায় ঘুম উড়েছিল নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষগুলোর। তবে এবার মিলল স্বস্তির খবর।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গেল, আপাতত টর্নেডোর কোনরকম আশঙ্কা নেই সুন্দরবনে। এমনকি অতীতে ঘটে যাওয়া ইয়াস কিংবা আম্ফানের মতো পরিস্থিতি আপাতত তৈরি হবে না। দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের দেখা পাওয়া যাবে। ৬০-৭০ কিলোমিটার বেগে বইবে দমকা হাওয়া। কিন্তু সুন্দরবনে আলাদা করে কোন রকম আতঙ্কের কারণ নেই এখনই। তবে আগে ভাগে সতর্ক থাকাই ভালো বলেই জানাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন।

এই টর্নেডো আসলে কী-

অনেকেরই দাবি, ভারতে সাইক্লোনের রাজধানী হচ্ছে সুন্দরবন। সেখানে সাধারণত আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রে হওয়া টর্নেডো আঁচড়ে পড়লে একগুচ্ছ ক্ষতি হতে পারে। যদিও আপাতত সুন্দরবনে ভয়াবহ এই টর্নেডো আসার সম্ভাবনা নেই বলেই দাবি করছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে যদি টর্নেডো আসে তাহলে কী কী প্রভাব পড়বে সেটাই দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।

অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ ছাড়া প্রায় সর্বত্রই দেখা পাওয়া যায় টর্নেডোর। সবচেয়ে বেশি হয় আমেরিকায়। সাধারণত মেঘ এবং পৃথিবীপৃষ্ঠের সঙ্গে সংযুক্ত বায়ুস্তরে ফানেল আকৃতির বিশালাকার বায়ুস্তম্ভ তৈরি হয় টর্নেডোর ফলে। যদিও প্রচন্ড বেগে ঘূর্ণায়মান এই ঝড়ের আকৃতি বিভিন্ন রকমের হতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় টর্নেডো পরিস্থিতি তৈরি হলে বাতাস বইতে থাকে ঘন্টায় ১৭৭ কিলোমিটার। অনেক সময় আবার বৃষ্টি এবং ঝড়ের কারণে ঠিকমতো টর্নেডোর আকৃতি বোঝা যায় না। আর এতেই কিন্তু ঘটে যায় মহাবিপদ। যদিও আপাতত সেই বিপদের কালো মেঘ আঁছড়ে পড়বে না সুন্দরবনের ওপর।

Related Articles