আন্তর্জাতিকনিউজ

আসতে চলেছে Covid-র চেয়েও মারাত্মক ব্যধী! কি জানালেন ইবোলা ভাইরাসের আবিষ্কর্তা বিজ্ঞানী

Advertisement
Advertisement

কোভিড-১৯’এ এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন বিশ্বের ৮ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ, আর মৃত্যু হয়েছে ১,৮৪৩,১৪৩ জনের,। তবে স্বাভাবিক ভাবে করোনা-কেই সবচেয়ে মারাত্মক মহামারী রোগ মনে হলেও তার থেকেও মারাত্মক রোগ ‘ডিসিজ এক্স’-এর সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা, তাঁদের মতে এটি এক‌ইসাথে করোনার মতো সংক্রামক এবং ইবোলার মত প্রাণঘাতী। কঙ্গোর এক মহিলার অজানা জ্বর ঘিরে উদ্বেগ বাড়লে, ইবোলা ভাইরাস আবিষ্কার করা বিজ্ঞানী অধ্যাপক জাঁ-জ্যাক মুয়েম্বি তামফুম সতর্ক করলেন এই নিয়ে।

গণপ্রজাতান্ত্রিক কঙ্গোর প্রত্যন্ত শহর ইনগেন্ড-এ এক মহিলার জ্বর উদ্বেগ বাড়িয়েছে। সম্প্রতি, হেমারেজিক ফিভার বা রক্তক্ষরণজনিত জ্বরের উপসর্গ দেখা দেয় ওই মহিলার দেহে। তাঁর এই অসুস্থতার কারণ ধরা পড়েনি ইবোলা-সহ বেশ কয়েকটি রোগের পরীক্ষা করেও। বর্তমানে ওই মহিলা সুস্থ হয়ে উঠলেও, তাঁর অসুস্থতার কোনও সঙ্গত কারণ পাওয়া যায়নি। তাই উদ্বেগে বিজ্ঞানীরা, প্রশ্ন, তাঁর অসুস্থতার কারণ ‘ডিজিজ এক্স’ নয়তো?

বিজ্ঞানীরা বলছেন, ‘ডিজিজ এক্স’ এখনো পর্যন্ত একটি কাল্পনিক ভয়ঙ্কর ব্যাধি। তাঁদের মতে, এটি নতুন কোনও ‘অপ্রত্যাশিত’, সম্পূর্ণ অজানা প্যাথোজেন, যা কোভিড -১৯’এর মতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে, আর ইবোলার মতো মৃত্যুর হার ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। আফ্রিকার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রেইন ফরেস্ট থেকে এই প্যাথোজেন এর উদ্ভব বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। ‘ডিজিজ এক্স’ বিশ্বব্যাপী মারাত্মক মহামারীর সৃষ্টি করতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও।

এই অবস্থায়, ১৯৭৬ সালে ইবোলা ভাইরাস আবিষ্কার করা বিজ্ঞানী জাঁ-জ্যাক মুয়েম্বি তামফুম মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এ মন্তব্য করেছেন, মানবসভ্যতা ধ্বংসের জন্য একের পর এক নতুন রোগজীবাণু হানা দেবে। তাঁর মতে কোভিড -১৯ এর চেয়ে আরও মারাত্মক কোনও নতুন রোগ শীঘ্রই বিশ্বে হানা দিতে পারে। জুনোটিক রোগ, অর্থাৎ যা অন্য প্রাণীর দেহ থেকে মানবদেহে সংক্রামিত হয়, সেই ধরণের রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটতে পারে। মুয়েম্ব বলেছেন, কোনও রোগজীবাণু আফ্রিকা থেকে উদ্ভূত হলে তা পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগবে। তাই মহামারীর বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করতে, ভাইরাসটিকে প্রাথমিক পর্যায়েই শনাক্ত করতে হবে। নতুন রোগজীবাণুগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বাকি বিশ্বের দেশগুলি কৌশল তৈরির সুযোগ পাবে, আর এই কারণেই সম্ভাব্য ভাইরাসগুলির সন্ধান চালিয়ে যেতে হবে।

Related Articles