সালটা ২০২০ অথচ ধ্যানধারনা সেই প্রাচীন যুগের। লেখাপড়ায় মানুষ ডিগ্রীধারী হয়েছে, উন্নত হয়ে কিন্তু মানসিকতা যে আদিকালের মতো রয়ে গেছে তারই প্রমান এই ঘটনা। একবিংশ শতাব্দীতে দাড়িয়েও আজও এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজ মেয়েদেরকে বোঝা বলে মনে করে, প্রচুর পরিবার রয়েছে যারা ছেলেদের একমাত্র বংশের বাতি ভাবেন।
হামেশাই পেপার বা খবরের চ্যানেল খুললে কন্যাভ্রুন হত্যা বা মেয়ে হলে অত্যাচারের ঘটনা শোনা যায়। এবার এরকম এক ঘটনা ঘটেছে যা আরো মর্মান্তিক, কোনো রক্ত মাংসের মানুষ যে এতটা স্বার্থপর, ভালোবাসাহীন হতে পারে তা এই ঘটনা না দেখলে বিশ্বাস হবে না।
আগমনির ঘন্টা বাজছে, মা দুর্গার আরাধনার তোড়জোড়ের প্রস্তুতি প্রায় শেষ মুহূর্তে। আর এমনই একটা দিনে রাস্তায় পড়ে রয়েছে সদ্যোজাত এক কন্যা। আর তাকে আগলে রেখেছে রাস্তার কিছু কুকুর। ঘটনাটি এক ব্যক্তি ছবিসহ সোশ্যাল সাইটে পোস্ট করেন। তিনি লিখেছেন সন্ধ্যে সাড়ে সাতটার সময়ে তার মাসির ফোন আসে, তিনি বলেন একটা রত্ন পেয়েছি পরে তোকে এসব জানাচ্ছি এখন ব্যবস্থা করি।
এরপর রাত সাড়ে দশটার সময় তিনি মাসিকে ফোন করে ঘটনা জানতে চাইলে জানা যায়, তার মাসি ও অপর এক ব্যক্তি বাজারে যাচ্ছিলেন হঠাৎ গলির মোড়ে একটা কান্নার আওয়াজ পেতে থমকে যান। এগিয়ে যেতেই তাদের চোখ পড়ে একটি বাচ্চার দিকে। কয়েকটা কুকুর মিলে বাচ্চাটিকে আগলে রেখেছে।
এরপর বাচ্চাটিকে উদ্ধার করা হয় ও সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন মাত্র একদিন বয়স তার। বর্তমানে বাচ্চাটিকে বারাসাতের একটি হোমে পাঠানো হবে। বাচ্চাটির দোষ বোধহয় এটাই ছিল যে সে কন্যা। বলা হয়েছে কোন সহৃদয় ব্যক্তি এই শিশুটির দায়িত্ব নিতে চাইলে হোম কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেন।