অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু তদন্তে নয়া মোড়। সামনে এলো বিস্ফোরক তথ্য। সুশান্ত তার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে আত্মহত্যা করে। তারপর তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এবার সেই অ্যাম্বুলেন্স চালক দাবি করেছে যে, অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে জীবিত ছিল সুশান্ত সিং রাজপুত। তার এই মন্তব্য শোরগোল ফেলে দিয়েছে চারিদিকে। অ্যাম্বুলেন্স চালকের দাবি, যারা ফোন করে তার সাথে যোগাযোগ করেছিল তারা তার সাথে খারাপ ভাষায় কথা বলেছিলেন।
ওই অ্যাম্বুলেন্স চালকের নাম বিশাল বন্দগর। ওই চালক অভিযোগ করেছে যে, সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকে তাকে ফোনে একাধিক হুমকি ও গালিগালাজ করা হয়। তার বক্তব্য,‘ তিনি ও তার ভাই একাধিক হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস দিয়ে থাকেন। কিন্তু অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের দেহ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে লাগাতার একমাস ধরে ফোনে একাধিক হুমকি পাচ্ছেন তারা।’ তার অভিযোগ, অভিনেতার অনুরাগীরা তাদের হুমকি দিয়ে বলেন তারা সুশান্তকে খুন করেছে, তাই তাদেরও মৃত্যু হওয়া উচিত।
এবার এই অ্যাম্বুলেন্স চালক পুলিশের দারস্থ হবার ভাবনাচিন্তা করছে। কিন্তু নেটিজেনরা চালকের অভিযোগ ঘিরে নানা মন্তব্য করেছে। অনেকে বলছে যদি অ্যাম্বুলেন্স চালক সুশান্তকে জীবিত অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্সে দেখেছেন তাহলে তিনি কেনো অভিনেতাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেন না। এছাড়া অনেকে প্রশ্ন তুলেছে যে, পুলিশও তো দেখেছিল সুশান্তের আঙ্গুল নড়তে কিন্তু তারপরেও কেনো তার মুখে চাদর চাপা দিয়ে দেওয়া হল।
এদিকে ইডির টানা জিজ্ঞাসাবাদে রিয়া জানিয়েছে, সুশান্তের এখনও দুটি জিনিস তার কাছে রয়েছে। একটি হল সুশান্তের দেওয়া কৃতজ্ঞতা নোট এবং দ্বিতীয়টি হল জলের বোতল। এই নোটটি সুশান্তের নিজের হাতের লেখা এমনটাই জানিয়েছে রিয়া। এই নোটে সাতটি বিষয়ে কৃতজ্ঞতার কথা বলা হয়েছে। এই নোটটির ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। এই নোটে লেখা আছে, আমি আমার জীবনের জন্য কৃতজ্ঞ, লিলু, বেবু, স্যার, ম্যাম,ফাজ এবং আমার জীবনে এত ভালবাসার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। রিয়া জানিয়েছে, লিলু হল সৌভিক, বেবু হল রিয়া নিজে। এছাড়া স্যার, ম্যাম এবং ফাজ হল যথাক্রমে রিয়ার বাবা, মা এবং সুশান্তের পোষ্য। কিন্তু এই কৃতজ্ঞতা নোট কবে লেখা হয়েছে এবং এটি কিভাবে রিয়ার কাছে গেল সেই নিয়ে কিছু জানা যায়নি।