আন্তর্জাতিকনিউজ

প্রকাশ্য রাস্তায় ধর্ষকের কঠোর সাজা, যন্ত্রনায় ছটফট করল ১৯ বছরের তরুণ

তবে ধর্ষণের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে দেশের মানুষেরা আওয়াজ তুললেও ভারতবর্ষে এখনও সেরকম কড়া, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আইন পাশ হয়নি।

Advertisement
Advertisement

সারা বিশ্বেই বাড়ছে ধর্ষণের সংখ্যা। এমনকি আমাদের দেশেও প্রতিদিন কোথাও না কোথাও ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। তবে ধর্ষণের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে দেশের মানুষেরা আওয়াজ তুললেও ভারতবর্ষে এখনও সেরকম কড়া, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আইন পাশ হয়নি। ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে ধর্ষণের ঘটনা কমবে না। এমনই যুক্তি বহু মানুষের।

আর এবার এরকমই দৃষ্টান্তমূলক এবং নির্মম শাস্তি দিল ইন্দোনেশিয়ার প্রশাসন। কি সেই শাস্তি? দিনের আলোয় রাস্তায় সকলের সামনে দাঁড় করিয়ে ধর্ষককে ১৪৬ বার চাবুকের ঘায়ে রক্তাক্ত করা হল। যন্ত্রণায় ছটফট করল ধর্ষক। চেঁচামেচিও করল সে। কিন্তু কোনও লাভ হল না। আর শুনলে আরও অবাক হবেন। এই ধর্ষকের বয়স মাত্র ১৯ বছর।

মাত্র ১৯ বছরের এই ছেলে গত বছর এক নাবালিকাকে সে ধর্ষণ করেছিল বলে অভিযোগ। আর এবার এই ধর্ষণের সাজা হিসাবে তাঁকে এই কঠিন শাস্তি দেওয়া হল। এত চাবুকের ঘা খাবার ফলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিল। যন্ত্রনায় যখন সে কাতরায় তখন প্রশাসনের তরফে সেখানে একজন ডাক্তারকে দিয়ে তাঁকে শুশ্রুষা করা হয়েছিল। তার পর আবার তাকে চাবুকের ঘা দেওয়া হয়।

ইন্দোনেশিয়াতে ইসলামিক আইনের লঙ্ঘন করলে চাবুকের ঘা দেওয়া হয়। তবে এতবার চাবুকের ঘা গুরুতর অপরাধ করলেই দেওয়া হয়। এদিন ইন্দোনেশিয়ার ইস্ট অসেহ-তে আরও দুজনকে ১০০ চাবুকের ঘা মেরে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। ওই দুইজনের বিরুদ্ধেও নিজের থেকে কমবয়সী মেয়েদের উপর যৌন অত্যাচার করার অভিযোগ ছিল। আর এই শাস্তি দেওয়া হয় মূলত যাতে এত কঠোর শাস্তি পাবার পর কেউ অপরাধ করার পর দুইবার ভাবে।

Related Articles