দেশনিউজ

৭ দিন ধরে কিচ্ছু খেতে পাইনি, খিদের জ্বালায় ছটফট করে মরে গেল ৫ বছরের বাচ্চা মেয়ে

নোটবন্দির সময় অনাহারে মরে গিয়েছে তাঁর ছেলে। আবার এখন খেতে না পেয়ে অনাহারে মরে গেছে তাঁর ৫ বছরের মেয়ে সোনিয়া।

Advertisement
Advertisement

ফের এক মায়ের সন্তান হারানোর করুন কাহিনী ধরা পড়ল উত্তরপ্রদেশে। সেই মায়ের দুঃখের কাহিনী শুনলে চোখে জল আসবেই। অনাহারে সে তাঁর দুই সন্তানকেই হারিয়েছে। নোটবন্দির সময় অনাহারে মরে গিয়েছে তাঁর ছেলে। আর এখন লকডাউনের সময় রোজগার বন্ধ থাকার জন্য খাবার জোটেনি। অনেক খুঁজেও কাজ জোগাড় করতে পারেনি মা। আর তাই না খেতে পেয়ে অনাহারে মরে গেছে তাঁর ৫ বছরের মেয়ে সোনিয়া। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আগ্রার বারোলির আহির ব্লক পরিবারে। সেই অভাগী মায়ের নাম শিলা দেবী।

শুক্রবার শিলা দেবীর ৫ বছরের মেয়ে সোনিয়া মারা যায় অনাহারে। আর এই খবর সংবাদমাধ্যমের প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ঘটনায় তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। শিলা জানিয়েছেন, “তিনদিন আগে মেয়ের জ্বর আসে। ঠিকমতো খাওয়াতে পারিনি। খুব দুর্বল হয়ে পড়েছিল। অনেকের কাছে সাহায্যের জন্য গিয়েছি। কেউ সাহায্য করেনি। টাকার জোগাড় হয়নি। সাতদিন ধরে মেয়েটাকে খাবার দিতে পারিনি। আর তারপর শুক্রবার পুরোপুরি নিস্তেজ হয়ে মারা যায়।” এদিকে শিলার স্বামীও টিবি রোগী। বহুদিন ধরে সে শয্যাশায়ী। এমনটাই জানিয়েছে পাড়ার এক প্রতিবেশী।

যদিও এই ঘটনার পর জেলাশাসক প্রভু এন সিংহ জানিয়েছেন যে শিশুটির মৃত্যু কিভাবে হল তা তদন্ত করা হচ্ছে। তিনি এটাও বলছেন যে ওই পরিবারটি কাউকে কিছু না জানিয়ে শিশুটিকে কবরস্থ করেছে। শিশুর মৃত্যু কিভাবে হয়েছে তা জানতে ময়নাতদন্ত করা উচিত ছিল। ওই এলাকার এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন যে শিলা দেবী প্রশাসনের কাছেও সাহায্যের জন্য গিয়েছিল একাধিকবার। কিন্তু কোনো সাহায্য পায়নি। শেষে মেয়েটার মৃত্যুর পর শনিবার স্থানীয় প্রশাসন পরিবারকে সাহায্য করবার আশ্বাস দিয়েছে।

Related Articles