নিউজ

মুকেশ আম্বানির ড্রাইভারের এতো টাকা বেতন, যা লজ্জায় ফেলে দেবে দেশের বড় বড় কর্পোরেট সংস্থার কর্মীদের

Advertisement
Advertisement

তার সম্পত্তির পরিমাণ দিন প্রতিদিন বেড়ে চলেছে এই মুহূর্তে ভারতের অন্যতম ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানি। আর সেই কারণেই তাঁর জীবনযাপন নিয়ে মানুষের কৌতুহল অনেকখানি। মুকেশ আম্বানির বাড়ির গ্যারেজে কোন কোম্পানির বিলাসবহুল গাড়ি থাকারই বাকি নেই। মুকেশ আম্বানির বাড়ি হোক কিংবা তার ব্যবহার করা গাড়ি সবকিছুই যেন এক্সট্রা অডিনারি। সম্প্রতি তেমনই এক গাড়ি যোগ হয়েছে মুকেশ আম্বানির গ্যারেজে, এই গাড়ি ফিচারের সম্পর্কে শুনলে আপনার চোখ উঠে যেতে পারে কপালে।

এই বিলাসবহুল গাড়িটি মুকেশ আম্বানির গ্যারেজের শোভা আরও চার গুণ বাড়িয়ে তুলেছে।বিএমডব্লিউ ৭ সিরিজ এর একটি গাড়ি। বর্তমানে এই গাড়িটির এক্স শোরুম মূল্য ৮.৭ কোটি টাকা। গাড়িটির অন্যতম আকর্ষণ হলো এর নিরাপত্তা। বলাবাহুল্য যে এই গাড়িটির ফিচারস টেক্কা দেবে বর্তমানে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি নিরাপত্তাকেও।

প্রশ্ন উঠতে পারে এমনকি রয়েছে এই গাড়ির মধ্যে? এই বিএমডব্লিউ ৭ সিরিজের গাড়িটিতে রয়েছে অত্যাধুনিক নিরাপত্তা জনিত বহু ফিচারস। সমস্ত গাড়িতে ভি আর সেভেন ব্যালেস্টিক মানের নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। গাড়িটির সমস্ত কাঁচ তৈরি করা হয়েছে ৬৫ মিলিমিটার পুরু বুলেটপ্রুফ কাঁচ দিয়ে যাদের মোট ওজন ১৫০ কেজি, যা একে ফরটি সেভেন এর গুলি দিও ভাঙ্গা সম্ভব নয়। এই গাড়িটি নিরাপত্তা বলয় এই ভাবেই তৈরি করা হয়েছে যা একটি গ্রেনেড আক্রমণ থেকেও গাড়ির ভেতরে বসে থাকা যাত্রী কে বাচিয়ে দিতে পারে। বিরাট কোন বিস্ফোরণ অর্থাৎ ১৭ কেজি ওজনের টিএনটি দিও যদি বিস্ফোরণ করানো হয় তাও এই গাড়িটি থাকবে অক্ষত।

এই অতি উচ্চমানের গাড়িটি জ্বালানি ট্যাংক এমন ভাবেই বানানো হয়েছে যাতে উচ্চ তাপমাত্রা ও অগ্নি প্রতিরোধক করতে পারে। এই গাড়ির মধ্যে রাখা রয়েছে একটি সিক্রেট চেম্বার যার মধ্যে থাকবে অক্সিজেন এর ব্যবস্থা অর্থাৎ কোনো রকম রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটলেও এই গাড়ির ভেতরে থাকা যাত্রী নিজেকে সেই রাসায়নিক হামলা থেকে রক্ষা করতে পারবে। অর্থাৎ বলাই যায় এই গাড়ির নিরাপত্তা যে কোন রাষ্ট্রপ্রধানের গাড়ির নিরাপত্তা সমকক্ষ।

মুকেশ আম্বানির গ্যারেজে আপাতত শোভা বাড়াচ্ছে এই অত্যাধুনিক নিরাপত্তা প্রযুক্তি সম্মত বিএমডব্লিউ ৭ সিরিজ এর গাড়িটি, তবে এই সব গাড়ী চালানোর জন্য ড্রাইভার কেউ হতে লাগে বেশ দক্ষ, আর সেইজন্যই মুকেশ আম্বানির বাড়ির ড্রাইভার হতে গেলে পেরোতে লাগে বেশ কয়েকটি পরীক্ষা। অবশেষে যদি সমস্ত দিক দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে যায় তবে সেই ড্রাইভার এর ভাগ্য মুড়ে যায় সোনায়। কারণ মুকেশ আম্বানির ড্রাইভার এর-মাসিক বেতন শুনলে একজন কর্পোরেট কর্মীও লজ্জা পেয়ে যেতে পারেন, আপনি হয়তো শুনলে চমকে যাবেন মুকেশ আম্বানির গাড়ির ড্রাইভারের মাসিক বেতন ২ লক্ষ টাকা, যা হার মানিয়ে দিতে পারে কোনো কর্পোরেট কর্মীর বেতনকেও।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles