করোনা সংক্রমণ রুখতে দীর্ঘদিন ধরে যে লকডাউন চলেছে তার জেরে পুরোপুরি বন্ধ ছিল রেল পরিষেবা। যার কারণে রেলের কোষাগারে টান পড়েছে। তাই খরচ কমাতে একের পর কঠিন সিদ্ধান্ত নিছে রেল। কর্মচারীদের সন্তানদের শিক্ষার ভাতাও বন্ধ করছে রেল। গত ১৪ ই মে এই ভাতা স্থায়ীভাবে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এটিকে কার্যকর করার জন্য রেলের তরফে কর্মী ইউনিয়নগুলিকে জানানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে প্রাথমিকভাবে।
উত্তর-পূর্ব রেলের জিএম সব শ্রেণির কর্মী সংগঠনকে পৃথক পৃথক ভাবে জানিয়েছেন, রেল কর্মীদের সন্তানদের শিক্ষার ক্ষেত্রে যে ভাতা দেওয়া হয় তা বন্ধ করা হবে ১৪ ই মে থেকে। জিএমের এই নির্দেশের পরই বিরোধিতা করে সংগঠনগুলি। সংগঠনগুলি এই বিষয়ে জানিয়েছে যে, এগুলো সবই রেলকে বেসরকারিকরণের ফন্দি। করোনা পরিস্থিতির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রেলবোর্ড একের পর পর এক নীতি বিরোধী পরিকল্পনা কার্যকর করছে। এই পরিস্থতিতে আন্দোলনও করা যাচ্ছে না। তাই বিষয়টির গুরুত্ব অনেকেই বুঝতে পারছেননা। আর এই সুযোগের সদ ব্যাবহার করে একের পর এক মারাত্বক পরিকল্পনা নিচ্ছে রেলমন্ত্রক।
পূর্ব রেলের সদর দপ্তর এখনও পর্যন্ত ইউনিয়নগুলিকে ভাতা বাতিলের পরিকল্পনা নিয়ে কিছু জানায়নি। কিন্তু রেলের মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষের বক্তব্য, যখন এক জোনে ভাতা বাতিলের প্রক্রিয়া কার্যকর করা শুরু হয়েছে, তখন সব জোনেই তা কার্যকর হবে। তিনি জানান, এটি সম্পূর্ণ নীতিবিরোধী কাজ।
তিনি আরও বলেন, সন্তানদের জন্য চিলড্রেন্স বেনিফিট পেতেন ৩য় এবং ৪র্থ শ্রেণীর কর্মীরা। আগে এর জন্য ভাতা হিসেবে যে টাকা দেওয়া হত তা খুবই কম ছিল। এটি এখন বেড়ে পড়াশোনা বাবদ দেওয়া হয় বার্ষিক ২৮ হাজার টাকা। হোস্টেলে থাকার ক্ষেত্রে আরও ২৫ হাজার টাকা এক্সট্রা দেওয়া হয়। একজন কর্মী তার ২ জন সন্তানের জন্য ভাতা পান। সুতরাং এই ভাতা বন্ধ করে রেলকর্মীদের সন্তানদের শিক্ষা থেকে দূরে সরিয়ে রাখার প্রচেষ্টা বলে দাবি অমিত বাবুর। অমিত বাবু জানিয়েছে আগামী দিনে তারা রেলের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবেন।