বর্তমানে পাখির চোখ ২১-র নির্বাচন। নির্বাচনের আগেই কলকাতায় পা রাখছেন অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ায় আদিবাসী পরিবার এবং পর দিন শুক্রবার কলকাতায় উদ্বাস্তু পরিবারে মধ্যাহ্নভোজন করবেন অমিতশাহ। আর এরই আগে বুধবার নবান্ন থেকে উদ্বাস্তু পরিবারকে পাট্টা বিলি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে একগুচ্ছ প্রকল্পের কথাও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার ২ লক্ষ ছেলেমেয়েকে বাইক কিনতে সহজে ঋণের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এবার স্বাস্থ্যসাথীতে স্থান পাচ্ছে ডোকরা ও ছৌ শিল্পীরাও এদিন এমনটাই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডোকরা ও ছৌ শিল্পীদের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় আনা হচ্ছে। ওই কার্ডে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা মিলবে’। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কর্মস্থানের লক্ষ্যে ২ লক্ষ মানুষকে বাইকের জন্য ঋণ প্রদানের কথা চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এক একটা পরিবারে ৫ জন থাকলে উপকৃত হবেন ১০ লক্ষ মানুষ’।
এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘২ লক্ষ ছেলেমেয়েকে নেব। সরকারি ব্যাঙ্ককে দিয়ে হবে না। কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক থেকে বাইক কেনার জন্য ঋণ দেওয়া হবে তাঁদের। বাইকের পিছনে থাকবে বক্স। তাতে শাড়ি নিয়ে গেলেন বিক্রি করতে। ফল নিয়ে বিক্রি করতে পারেন’।
কাস্ট সার্টিফিকেট প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কাস্ট সার্টিফিকেট তৈরি নিয়ে হেনস্তার দিন শেষ। এবার থেকে পরিবারের যে কোনও একজনের কাস্ট সার্টিফিকেট থাকলেই আবেদন করা যাবে। মাত্র ২ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যেই সার্টিফিকেট মিলবে’। পাশাপাশি তপশিলি উন্নয়ন পর্ষদের জন্য বরাদ্দ করেন ৫ কোটি টাকা। এছাড়াও তপশিলি, বাগদি, বাউরি-সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের উদ্বাস্তু বেশ কিছু মানুষের হাতে জমির পাট্টা তুলে দেন।
এরপরেই নাম না করেই বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই আমি বড়মার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। দীর্ঘদিন ধরে উদ্বাস্তুরা জমি সমস্যায় ছিলেন। অনেক এখন নতুন এসেছে। ভোট এলে অনেকের এদের কথা মনে পড়ে। তবে, আমি বহুদিন ধরে কাজ করছি। তাদের সমস্যার কথা শুনেছি’। অন্যদিকে মেলা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস, ‘কালী পুজো কেটে যাওয়ার পর মেলার অনুমতি দেবে সরকার’।