পায়েল গাঙ্গুলি: করোনা আতঙ্ক বাড়লেও ক্রমাগত পরিসংখ্যান বৃদ্ধি করে চলেছে গেরুয়া শিবির। বেশ কিছুদিন ধরেই বিজেপিতে যোগদান করছে বহু নেতাকর্মী। আর মাস পাঁচেক আগেই বিতর্ক উস্কে দিয়ে পদ্ম শিবিরে মাথা গলিয়ে ছিলেন চন্দনদস্যু বীরাপ্পনের বড় মেয়ে। এবার সবাইকে অবাক করে তামিলনাড়ু বিজেপির যুব মোর্চার সহ-সভাপতি পদে নিযুক্ত করা হলো বীরাপ্পনের মেয়ে বিদ্যা রানিকে।
চন্দনদস্যু বীরাপ্পনের নাম সকলের পরিচিত। এই নামটা শুনলে কোথাও যেন এখনও মনের কোনায় ভয় নাড়া দিয়ে ওঠে। ২০০৪ সালে এসটিএফের অভিযানে নিহত হয় কুখ্যাত চন্দনদস্যু। বীরাপ্পনের বিরুদ্ধে ১৫০ জনকে খুন তাছাড়াও শতাধিক হাতি শিকারের অভিযোগ আছে। হাতির দাঁত এবং চন্দন কাঠ পাচারই ছিল তাঁর মূল পেশা। আর এবার সকল জল্পনা উস্কে দিয়ে তামিলনাড়ু বিজেপির যুব মোর্চার সহ-সভাপতি হলেন তাঁরই বড় মেয়ে। যদিও বীরাপ্পনের মেয়ে বিদ্যা পেশায় আইনজীবী ও সক্রিয় সমাজকর্মী।
বড় পদ পেয়ে উচ্ছ্বসিত বিদ্যা জানান, ‘আমার মূল উদ্দেশ্য সমাজসেবা। আমি কোনও ধর্মে বিশ্বাস করি না। মানবতায় বিশ্বাস করি’। ফেব্রুয়ারি মাসে বিজেপি সাধারণ সম্পাদক মুরলীধর রাও এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পন রাধাকৃষ্ণণের হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন তিনি।
বিজেপির যুব সংগঠনের নেত্রী বিদ্যা তার বাবার সম্পর্কে জানান, ‘ আমার মনে হয় বাবার পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি তাঁকে ওই পথে নিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। আমার সাথে ওর একবারই দেখা হয়েছিল। তখন আমার ৬-৭ বছর বয়স। আমার দাদুর বাড়ির কাছে একটা জঙ্গলে খেলা করছিলাম। তখন এসে কয়েক মিনিটের জন্য আমার সাথে কথা বলেছিল। আমাকে বলেছিল ভাল পড়াশোনা করে মানুষের সেবা করতে’।