খোদ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে দেখা গেল অজানা এক প্রাণীর পায়ের ছাপ। এই পায়ের ছাপ দেখা গেল ঝাড়গ্রাম শহরে। যা দেখে রীতিমতো আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। ঝাড়গ্রাম শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কদমকানন এলাকার শেষ প্রান্তে পুলিশ সুপারের অফিস। আর এই অফিসের সামনে জঙ্গল এলাকায় অজানা কিছু পায়ের ছাপ মিলেছে।
এই অজানা পায়ের ছাপ গুলি কোন প্রাণীর তা জানার জন্য বনকর্মী এবং বনদপ্তরের আধিকারিকরা পরীক্ষা করে দেখেছেন। গতকাল সকালে কাজে বেরোনোর সময় স্থানীয় বাসিন্দারা বেশ বড় আকারের অজানা কোনো প্রাণীর পায়ের ছাপ লক্ষ্য করে। এটি বাঘের পায়ের ছাপ ভেবে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বেশ আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে যে, এই পায়ের ছাপগুলি হায়না, নেকড়ে বা হুড়াল জাতীয় কোনও প্রাণীর হতে পারে। তবে এখনও এরকম কোনো খবর মেলেনি যে, প্রাণীটি কোনো মানুষের বা কারও গৃহপালিত পশুর ক্ষতি করেছে।
এই পায়ের ছাপের বিষয়ে ঝাড়গ্রামের ডিএফও বাসবরাজ হোলেইচ্ছি জানিয়েছে, ‘এই ছাপগুলি প্রাথমিকভাবে দেখে ডগ গোত্রের কোনও অ্যানিম্যাল বলে মনে করা হচ্ছে।’ গত ২ বছর আগে লালগড়ের বিভিন্ন জঙ্গলে একটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার বনদপ্তরের ট্র্যাপ ক্যামেরাতে দেখা গিয়েছিল। পরে ওই বাঘটি মারা যায় শিকারিদের হাতে। ওই ঘটনার পর থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে একটি ধারণা তৈরি হয়েছে যে ঝাড়গ্রাম জেলার জঙ্গলে বাঘ থাকতে পারে।
জঙ্গলে অজানা জন্তুর ছাপ মেলায় ওই এলাকার লালবাজার, রাজবাঁধের মতো গ্রামে বেশ আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। কারণ জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের বহু মানুষ জঙ্গলের ওপর নির্ভর করে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করে। তাই তাদের জঙ্গলে যেতেই হয়। তাই জঙ্গলে অজানা জন্তুর ছাপ মেলায় তারা খুবই চিন্তিত যে, তারা কিভাবে জঙ্গলে যাবে।