তাহলে কি যুদ্ধ শুরু? লাদাখে ২০ হাজার সেনা মোতায়েন করলো চিন, প্রস্তুত রয়েছে ভারতও
দুদেশের কম্যান্ডার পর্যায়ের তৃতীয় বৈঠকের পরেও চিন তার আগ্ৰাসন কমায়নি। উল্টে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে ২০০০০ সেনা মোতায়েন করেলো চিন। শুধু এখানেই শেষ হয়নি চিনের আগ্রাসন। জিনজিয়াং প্রদেশেও ১০ থেকে ১২ হাজার সেনার সক্রিয়তা লক্ষ্য করা গিয়েছে। জিনজিয়াং প্রদেশের সেনাদের কাছে অত্যাধুনিক অস্ত্রসস্ত্র ও সমরাস্ত্র বহনকারী গাড়িও রয়েছে। লাদাখ সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০০ কিলোমিটার দূরে হলেও জিনজিয়াং থেকে মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় লাদাখ পৌঁছনো যাবে, এমনটাই জানিয়েছে এএনাআই।
ভারতের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘বিষয়টির উপর কড়া নজর রাখছি।’ গত ৬ সপ্তাহ ধরে চিন ভারতের সঙ্গে বিবাদ শুরু করেছে। চিনকে বোঝানোর জন্য একের পর এক আলোচনাঝ চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। কিন্তু আলোচনার নামে ঘোড়া হচ্ছে। সীমান্তে একের পর উত্তেজনা সৃষ্টি করে চলেছে চীন। ইতিমধ্যেই যুদ্ধ-প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে চিন। তিব্বত সীমান্তেও সেনার সংখ্যা বাড়িয়েছে চিন। চিনের এই তৎপরতা দেখে ভারতও উপযুক্ত পদক্ষেপ নিয়েছে, লাদাখে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা করেছে ভারত। সেই সঙ্গে আনা হয়েছে অত্যাধুনিক অস্ত্রসস্ত্র।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ভারত চিনের কম্যান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে একটি মানচিত্র দেওয়া হয় চিনকে। সেই মানচিত্রে গালওয়ানসহ বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা প্যাংগং, দেপসাং, ফিঙ্গার ফোরের অংশকে ভারতের অংশ হিসেবে দেখানো হয়৷ সেই সঙ্গে চিনা আগ্রাসনের বেশকিছু প্রমাণ, উপগ্রহ চিত্রও তুলে ধরা হয় এই বৈঠকে। চিনা সেনা ভারতের এই দাবি মানেননি, উল্টে চিনের তরফে জানানো হয়, খুব শীঘ্রই তারা ভারতকে তাদের মানচিত্র ও দলিল দেখিয়ে দেবে।