এমনিতেই গোটা দেশ করোনায় বিধ্বস্ত। বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। সরকার থেকে সাধারন মানুষ সকলেই নাজেহাল হয়ে গিয়েছে করোনার মোকাবিলায়। আর এই পরিস্থিতিতে এক ডাক্তার ও দুই স্বাস্থ্য কর্মীর হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথনের স্ক্রিনশট গোটা দেশে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। আর এই ঘটনার পরেই কড়া ব্যবস্থা নিলো পুলিশ এবং ইতিমধ্যেই সেই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিকে এই ঘটনার পর ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
কি এমন ছিলো ওই স্ক্রিনশটে, যার পরে গোটা দেশ ক্ষোভে ফুঁসছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজস্থানের চারু জেলার শ্রীচাঁদ বরদিয়া রোগ নিদান কেন্দ্র হাসপাতালে কর্মরত এক ডাক্তার ও দুই স্বাস্থ্যকর্মীর মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপের কথোপকথন ভাইরাল হয়ে যায়। এক ল্যাব টেকনিশিয়ান ওই হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেজে লেখেন, “আমি আজ থেকে শপথ করছি কাল থেকে কোনও মুসলিম রোগীর এক্স-রে করব না।” তারপর ওই ডাক্তার লেখেন, “কাল থেকে কোনও মুসলিম রোগীকে আমি দেখব না।” আর এরপর এই মেসেজের স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে এবং তারপর থেকেই বিপত্তি বাঁধে। ইতিমধ্যেই ওই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এদিকে গোটা ঘটনায় ওই হাসপাতালের কর্তা ড. সুনীল চৌধুরি জানিয়েছে, “সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া কথোপকথনের জন্য আমি দুঃখিত। কোনও বিশেষ ধর্মকে আমরা আঘাত করতে চাইনি। ভবিষ্যতে আমার সংস্থার কর্মীরা কোনও অভিযোগের জায়গা দেবেন না।”
এই ঘটনার পরেই গতকাল, সরদর শহর পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে, সেই সঙ্গে দুর্যোগ মোকাবিলা আইন ভাঙারও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনার পর স্টেশন হাউস অফিসার মহেন্দ্র দত্ত শর্মা বলেছেন, “হাসপাতালের এক ডাক্তার, এক টেকনিশিয়ান ও এক কমপাউন্ডারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। একটি বিশেষ ধর্মের বিরুদ্ধে তারা মন্তব্য করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।”