এই বর্তমান সমাজে মানুষ দিন দিন নিষ্ঠুর হয়ে যাচ্ছে। বাড়ছে অসুস্থ মস্তিস্ক ও দয়া মায়াহীন মানুষের সংখ্যা। যত দিন যাচ্ছে অবলা প্রাণীদের ওপর মানুষের অত্যাচার ক্রমশ বেড়েই চলেছে। বর্তমানে সামান্য নিছক আনন্দ পাবার জন্যও মানুষ অবলা প্রাণীর ক্ষতি করে দিচ্ছে। ফের একবার নৃশংসতার চরম নিদর্শন রাখলো মানব জাতির কিছু অসুস্থ মস্তিস্কের লোক। বিস্ফোরক ঠাসা এটার ডেলা খাইয়ে গর্ভবতী গরুর মুখ ওড়িয়ে দেওয়া হলো। এই নির্মম ঘটনাটি ঘটেছে হিমাচল প্রদেশের বিলাসপুর জেলার ঝান্ডুদা এলাকায়।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই কেরলে এক ক্ষুধার্ত গর্ভবতী হাতিকে, গ্রামবাসীরা আনারস খেতে দেয়। আর সেই আনারস চরম দুর্ভোগ ডেকে আনে ওই গর্ভবতী হাতিটির জীবনে। হাতিটিকে কোনো ভালো আনারস নয় বরং বাজি ভর্তি আনারস খেতে দেয় গ্রামবাসীরা। তারপর যা হবার তাই হল। সেই বাজি ভর্তি আনারস খেতেই তা ফেটে যায় এবং হাতিটির মুখ ও শুঁড় গুরুত্বর আহত হয়। হাতিটি যন্ত্রণায় ছটপট করতে থাকে এবং কিছুক্ষন পরেই মারা যায়। এই খবর দেশজুড়ে ঝড় শুরু করেছিলো। প্রবল ভাবে নিন্দা করা হয়েছিলো এই ঘটনার। তার স্মৃতি মিটতে না মিটতেই এবার এই গর্ভবতী গরুর ওপর হামলা করা হলো।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটার সময়ে গরুটি মাঠে ঘাস থেকে ব্যস্ত ছিল এবং সেই সময় কোনোভাবে সেই গর্ভবতী গরুটি বিস্ফোরক খেয়ে ফেলে বা তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিস্ফোরকটি খাইয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ গরুর মালিকের। যদিও এই মুহূর্তে পুলিশ মুখ খুলতে নারাজ। এদিকে গরুর মালিক গুরুদয়াল সিং এই নৃশংস ঘটনার জন্য তার প্রতিবেশীকে দায়ী করেছেন। তার কথায়, প্রতিবেশী নন্দলাল তাঁকে বরাবরই হিংসা করেন। সেই হিংসার জন্যই তাঁর গরুকে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ আহত করা হয়। এই ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা হয়েছে তার প্রতিবেশী নন্দলাল। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনা তদন্তাধীন, তাই তারা এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারবে না। এদিকে ওই গর্ভবতী গরুটির সন্তানের কোনো ক্ষতি তা স্পষ্টভাবে বলা হয়নি।