হিন্দু ধর্মে হনুমান চল্লিশা এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান লাভ করেছে। কথিত আছে হনুমান চল্লিশা পাঠ করলে বানর ভগবান হনুমানকে সন্তুষ্ট করা যায় ও আশীর্বাদ মেলে। এমনকি এও শোনা যায় হনুমান চল্লিশা পাঠে শনির কুদৃষ্টি থেকে রেহাই পাওয়া যায়। মঙ্গলবার হলো সংকটমোচন হনুমানকে পুজো করার দিন। আর সঙ্কটমোচন হনুমানের পুজোতে অবশ্যই পাঠ করতে হবে হনুমান চালিশা।
জানেন কি হনুমান চালিশা পাঠ করার মধ্যে এমন একটি শক্তি আছে, যা আমাদের চারপাশের নেগেটিভ শক্তিকে সরিয়ে পজিটিভ শক্তি ভরিয়ে তুলতে সাহায্য করে। পজিটিভ শক্তি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায় হনুমান চালিশা পাঠ করলে। সৌভাগ্য যেন সর্ব ক্ষণের সঙ্গী হয়ে ওঠে। অনেকেই বলেন হনুমান চালিশা যে কেবল মঙ্গলবারেই পাঠ করা ভাল তা নয় প্রতিদিন হনুমান চালিশা পাঠ করা যেতে পারে। শাস্ত্র মতে, দিনের বেলা হনুমান চালিশা পাঠ করার থেকে রাতে পাঠ করলে বেশি ফল পাওয়া যায়।
হনুমান আজীবন ছিলেন প্রভু রামের ভক্ত। হনুমান যেহেতু প্রভু রামের সবচেয়ে বড় ভক্ত ছিলেন তাই প্রভু রামের আগে হনুমানের পুজো করা হয়।মাতা সীতার আশীর্বাদে হনুমান অমর হাওয়ার বর পেয়েছিলেন। তবে, আপনারা অনেকেই হয়ত জানেন হনুমান চলিশায় মোট ৪০ টি চৌপাই আছে। তবে, তার মধ্যে ৫ টি চৌপাইের বিশেষ ক্ষমতা আছে তা জানা আছে কি? আসুন দেখে নেওয়া যাক সেই পাঁচটি মন্ত্র কি। ‘বিধবান গুণী অতি চাতুর ৷ রামকাজ করিবে কো আতুর ‘। যদি কোনও ব্যক্তি বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান সমৃদ্ধ হতে চান, তাহলে এই মন্ত্রের বিকল্প নেই। ‘লায়ে সঞ্জীবন লক্ষ্মণ জিয়ায়ে ৷ শ্রী রঘুবীর হরষি ওর লায়ে’। দীর্ঘদিন ধরে যদি কোনও রোগে ভোগেন তাহলে অবশ্যই এই মন্ত্রটি মন থেকে উচ্চারণ করুন সুফল পাবেন।
‘ভীম রূপ ধরি অসুর সংহারে ৷ রামচন্দ্র কে কাজ সংবারে’। শত্রুদের থেকে মুক্তি পেতে এই মন্ত্রটি প্রতিদিন সকালে উচ্চারণ করা ভালো। ‘রামদূত অতলিত বলধামা ৷ অঞ্জনিপুত্র পবনসুত নামা’। হনুমান পুজোর সময়ে এই মন্ত্রোচ্চারণ করলে সমস্ত রকম শারিরীক ও মানসিক যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেতে পারেন ৷ ‘মহাবীর বিক্রম বজরঙ্গী ৷ কুমতি নিবার সুমতি কে সঙ্গী ‘। এই মন্ত্রোচ্চারণে আপনি জ্ঞান এবং বুদ্ধিমত্তার অধিকারী হবেন৷ বলা হয় এই ৫ টি মন্ত্র নিয়মিত উচ্চারণ করতে পারলে স্বাস্থ্য, সম্পত্তি এবং সমৃদ্ধি সংসারে উপচে পড়বে।