দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই চালিয়ে গেছেন ইরফান খান। জীবনের প্রতি তার সম্পূর্ণ আস্থা ছিল 2018 সালে নিউরোঅন্ড্রোক্রাইন নামের এক বিরল ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাতেও হার মানেননি বরং আরও বেশি করে জীবনকে আঁকড়ে ধরেছিলেন। ছবি ছিল তার প্রাণ তাই সামান্য সুস্থ হতেই ফিরে এসেছিলেন পর্দায়। 2019 সালের ফেব্রুয়ারি মাসের লন্ডন থেকে ফিরে আসেন , আর তারপর মুক্তি পায় আঙরেজি মিডিয়াম।
কিন্তু আর স্থায়ী হলো না তার বলিউডের দৌড় লকডাউন এর মধ্যে চলে গেলেন বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা, চলে গেলেন ইরফান খান। মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই জনপ্রিয় অভিনেতা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল 54 বছর। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বলিউড জুড়ে।
লকডাউনের মধ্যে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি সঙ্গে সঙ্গে তাকে মুম্বাইয়ের ধীরুভাই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সেখানের আইসিইউতে চলছিল তার চিকিৎসা। কিন্তু চিকিৎসার মাঝে প্রথমে তার মৃত্যুর গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে কিন্তু এই গুঞ্জন নস্যাৎ করে অভিনেতার মুখপাত্র বলেন কোলন ইনফেকশন নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, অসুস্থতার মধ্যে অসম্ভব মনের জোর রয়েছে অভিনেতার খুব শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠবেন তিনি, এমনটাই আশা প্রকাশ করেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত লড়াই থেমে গেল। প্রয়াত হলেন বলিউডের এই অভিনেতা। বলিউডে তিনি যা দিয়ে গেলেন তা কেউ ভুলবে না। তার ওই গাল ভরা হাসি, অসাধারন অভিনয় দক্ষতা সকলে মিস করবে।তবে সকলের মনে চিরজীবন অমর হয়ে থাকবেন তিনি।