বিনোদন

ঠাকুর বংশের মেয়ে হয়েও মনসুর আলিকে বিয়ে, তিন সন্তানের মা হন সাহসী শর্মিলা ঠাকুর

Advertisement
Advertisement

বলিউডের বিখ্যাত প্রেম গুলির মধ্যে শর্মিলা ঠাকুর এবং মনসুর আলীর প্রেম অন্যতম, সমাজ ধর্ম সমস্ত কিছুর তোয়াক্কা না করেই সেই সময় একে অপরের হাত ধরার স্পর্ধা দেখিয়েছিলেন এই জুড়ি।

একজন বাংলার তন্যতম খ্যাতি সম্পন্ন বংশ ঠাকুরবাড়ির মেয়ে আরেকজন মুসলিম নবান পরিবারের সন্তান, এজন ডাক সাইজের অভিনেত্রী অন্যজন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক, সব কিছুর মধ্যেই বিভেদ ছিলো প্রচুর, দুজন একে ওপরের থেকে আকাশ পাতাল আলাদা তবে প্রেম যে কোনো পার্থক্য মানেনা। প্রেম নিজেই সব থেকে বড় ধর্ম। আর তাই সমস্ত পার্থক্য কে এক প্রকার চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একে অপরের পাশে থাকার অঙ্গীকার নিয়েছিলেন শর্মিলা ঠাকুর এবং মনসুর আলী।

সালটা সম্ভবত ১৯৬৫ একটি ক্রিকেট ম্যাচে শর্মিলার সাথে আলাপ হয় মনসুরের সেই সময় মনসুর আলী ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক, শুরু হয় প্রেম। তখন শর্মিলা একজন উঠতি নায়িকা, ঠাকুর পরিবারের মেয়ে হওয়ার কারণে রুপোলি পর্দায় শর্মিলাকে অনেকেই তখন মেনে নিতে পারছেন না, তবে পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন প্রেমিক মনসুর। জুগিয়েছিলেন সাহস, আর তাতেই অ্যান ইভিনিং ইন প্যারিস এর মত সিনেমায় প্রথম বিকিনি পড়ে পর্দায় আসার সাহস পেয়েছিলেন শর্মিলা।

একটা সময় মনসুর এবং শর্মিলার প্রেম ভারতীয় ক্রিকেট দুনিয়া এবং বলিউডে ছিল চর্চায়। এখন অভিনেত্রী দের সাথে ক্রিকেটারদের সম্পর্ক সচরাচর হলেও সেই সময় ক্রিকেটের সাথে বলিউডের এই প্রথম কোনো সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এমনকি মনসুর ব্যাট নিয়ে মাঠে নামলেও বেজে উঠত শর্মিলার সিনেমার গান। ওইদিকে তখন শর্মিলা ও ধীরে ধীরে নিজের ক্যারিয়ারে পাচ্ছেন খ্যাতি, ১৯৬৯ সালে রিলিজ হয় আরাধনা, ব্যস এর পর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি শর্মিলাকে ওই সালেই সাত পাকে বাঁধা পরেন প্রেমিক জুটি। তিন সন্তানের মা বাবা হন শর্মিলা এবং মনসুর।

একে অপরের সাথে চুটিয়ে সংসার করেছেন এই দম্পতি। একাধারে সিনেমা এবং অন্যদিকে তিন সন্তানের সামলে পরিবারের সমস্ত দায়িত্ব পালন করেছেন শর্মিলা। মনসুরা নিজের ২২ গজের পাশাপাশি একজন ভালো স্বামী এবং পিতার হয়ে উঠেছিলেন, ২০১১ সালে পরলোকগমন করেন মনসুর, শর্মিলাও নিজেকে সরিয়ে নেন সেলুলয়েডের পর্দা থাকে। তবে এখনো পর্যন্ত এই জুটির প্রেম কাহিনী অমলিন হয়ে আছে রুপোলী দুনিয়ায়।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles