সুশান্তকে আমি থামাতে চেয়েছিলাম, কিন্তু ও কথা শোনেনি, চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন রিয়া
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে তার বান্ধবী অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি সুশান্ত মামলায় রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে মাদক চক্রের যোগ পেয়েছে ইডি। আর ইডি- র দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো।এরই মাঝে ‘সুশান্ত মারিজুয়ানা খেত,আমি থামাতে চেয়েছিলাম, কথা শোনেনি’, বিস্ফোরক দাবি রিয়া চক্রবর্তীর।
সূত্রের খবর, রিয়া এবং তাঁর সঙ্গীদের নারকোটিক্স টেস্ট করা হবে, শীঘ্রই তাঁদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হবে । জানা যাচ্ছে, রিয়া ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ যদি প্রমাণিত হয় তাহলে সর্বনিম্ন ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে তাঁদের। বর্তমানে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর তদন্তাধীন রিয়ার ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে ওঠা মাদক সংক্রান্ত অভিযোগ। রিয়ার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ এবার অভিনেত্রী কি ঠেলতে চাইছে সুশান্তের দিকে?
সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রিয়া দাবি করেন, ‘ সুশান্ত মারিজুয়ানা অর্থাৎ গাঁজার নেশা করত, সুশান্ত এটা সেবন করত আমদের দেখা হওয়ার আগে থেকেই। এইসব কিছুর শুরু হয় কেদারনাথের সময় থেকে। আমি চেষ্টা করেছিলাম ওকে কন্ট্রোল করবার শুধুমাত্র এই বিষয়টাতেই। কিন্তু ও নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিত, ওকে কেউ থামাতে পারত না’। রিয়া ড্রাগের নেশা করে কিনা এই প্রশ্ন করতেই রিয়া পরিষ্কার বলেন, ‘আমি সব অভিযোগ অস্বীকার করছি। আমি চাই না তদন্তে কোনওরকম ক্ষতি করতে। হ্যাঁ, আমি গৌরব আর্যকে চিনি। আমি কোনও দিনই এমডিএমএ নিইনি।
প্রসঙ্গত,সম্প্রতি অভিনেত্রী রিয়ার সঙ্গে জয়া সাহা, গৌরব, শ্রুতি মোদী, স্যামুয়েল মিরান্ডাদের হোয়াটস অ্যাপের কথোপকথন প্রকাশ্যে এসেছে। সূত্রের খবর,সুশান্ত গাঁজা ছাড়তে চাওয়ার পরই নাকি অভিনেতাকে নিষিদ্ধ মাদক দেওয়া শুরু করেন অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী। এমনকি এও শোনা যাচ্ছে গোপনে বিভিন্ন ধরনের পানীয়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়েই রিয়া সুশান্তকে পান করাতেন। আর সেই মাদক রিয়া নিতেন তার ভাই সৌভিক চক্রবর্তীর বন্ধু গৌরবের কাছ থেকে। যেখানে MDMA, Hash সহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ মাদকের কথা উঠে এসেছে। রিয়া ও জয়া সাহার কথাবার্তায় উঠে এসেছে নিষিদ্ধ CBD-র মতো মাদকের কথা। যেটি সুশান্তকে চা কিংবা কফির সঙ্গে রিয়া মিশিয়ে খাওয়াত বলে মনে করা হচ্ছে। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরেই রিয়া ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে ১৯৮৫-র ‘নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্স আইন’ – র আওতায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ২০,২২,২৭,২৯-এর মতো একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।