শুধুমাত্র ডায়েট আর ওয়ার্ক আউটে বাজিমাত করেছেন তিনি। কয়েকবছরের মধ্যে নিজের বদল ঘটিয়ে প্রমান করে দিলেন ইচ্ছাশক্তি থাকলে মানুষ সব করতে পারে। দিনটি ছিল 2006 সালের 6 জুন, একটুকরো চিজ কেক সিদ্ধ আলু আর মাখনে মোড়া বিফ স্টেক খেয়ে পন করলেন এখানেই শেষ এবার শুরু হবে নতুন অধ্যায়। সেদিন থেকেই আনদান সামীর ২৩০ কেজি থেকে ওজন কমানোর লড়াই শুরু হয়। পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত ভারতীয় সংগীতশিল্পী আদনান সামির সেই জীবন পথে চূড়ান্ত বাকের গল্প জেনে নিন যা অনুপ্রাণিত করবে আপনাকেও।
২০০৬ সালে তিনি অসুস্থ বোধ করলে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করেন। চিকিৎসক জানান যদি শরীরের বাড়তি ওজন তিনি না কমান তবে ছয়মাসের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হবেন। নিজেকে বাঁচাতে তাই শুরু করলেন ওজন কমানোর চেষ্টা যা মোটেই সহজ ছিলনা।
৭ই জুন থেকেই শুরু হয়ে যায় তার লড়াই। পুষ্টিবিদ এর শরণাপন্ন হয় লো কার্বন হাই প্রোটিন ডায়েট আর নিয়মিত শরীরচর্চা শুরু করেন। তার ডায়েটিশিয়ান তাকে ইমোশনাল ইটার বলে অভিহিত করতেন কারণ সামি মন ভালো বা খারাপ হলে অনিয়ন্ত্রিত খাওয়া শুরু করতেন। আর এই অভ্যাস ত্যাগ করতেই সব সময় নিজের সাথে ডায়েটিশিয়ান রাখতেন। শাকসবজি, পপকর্ন, তেলছাড়া পোড়ানো মাছ ডাল সেদ্ধ ছিল তার খাবার।
ভোজনরসিক এক ব্যক্তির কঠোর নিয়মে আবদ্ধ থেকেও হার মানেননি। চিনি দেওয়া পানীয় আলকোহল সব কিছু বাদ রেখেছিলেন। তেল মসলাবিহীন মাছ মাংস ছিল তার একমাত্র খাবার।
শুধুমাত্র ডায়েট চার্ট অনুসরন করে ওজন কমিয়েছিলেন ৪০ কেজি। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, প্রয়োজন হয় ব্যায়ামেরও। ফিটনেট ট্রেনারের পরামর্শ মতো লম্বা হাটা, ট্রেডমিল, কার্ডিও ব্যায়াম শুরু হয় একে একে। আর মাত্র ১১ মাস এর মধ্যে ২৩০ থেকে ওজন দাড়ায় ৮৬ কেজি। বর্তমানে এখন তিনি একদম সুস্থ।