14 জুনের পর এতো কটা দিন পেরিয়ে গেছে কিন্তু এখনো প্রতি মুহূর্তে মানুষ সুশান্তর জন্য একটা ফাকা শূন্যস্থান নিজের মনে অনুভব করছে। কিন্তু যেই মানুষটা আমাদের ছেড়ে পাড়ি দিয়েছেন না ফেরার দেশে তার কারন কি অবসাদ নাকি জোর করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এই প্রশ্নের রহস্যের কিনারাতে মুম্বাই পুলিশ তদন্তে নেমেছেন। সেই সূত্রে ধরে উঠে আসছে নতুন নতুন তথ্য।
একের পর এক পরিচালক, সুশান্তে প্রেমিকা, বন্ধু বান্ধবদের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছিল। সম্প্রতি সুশান্তের মৃত্যু তদন্তে তিন মনোবিদ এবং এক মনস্তত্ত্ববিদ এর বয়ানও রেকর্ড করেছে পুলিশ। সুশান্ত এই প্রত্যেক মনোবিদদের সঙ্গে কাউন্সেলিং সেশন এ ছিল। এদের মধ্যে এক মনোবিদ মুম্বাই পুলিশকে জানিয়েছেন যে সুশান্ত বাইপোলার ডিসঅর্ডারে ভুগছিলেন। একের পর এক প্রজেক্ট হাতছাড়া, ব্যক্তিগত কিছু সমস্যা নানারকম সমস্যার জন্য চাপে ছিলেন আর অন্যদিকে তিনি ইন্ট্রোভার্ট প্রকৃতির হওয়ায় কারো সাথে কিছু শেয়ার করতে পারেননি আর এইসব কারনেই ধীরে ধীরে তাকে অবসাদ গ্রাস করে তাকে।
পুলিশকে তারা এও জানিয়েছেন যে সুশান্ত ঠিকমতো ওষুধ খেতেন না। 2019 সালের নভেম্বরে এই মেডিক্যাল বিশেষজ্ঞদের সাথে সুশান্ত যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু এক ডাক্তারের সঙ্গে থেকে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন না তিনি, বারবার বদলে ফেলতেন ডাক্তারদের।
প্রসঙ্গত রিয়া নাকি মহেশ ভাটকে জানিয়েছিলেন যে সুশান্ত অন্য গলার স্বর শুনতে শুরু করেছিল তার মনে হতো তাকে কেউ মেরে ফেলতে চাইছে। মুম্বাই পুলিশ তদন্ত হাতে নেওয়ার পর এখনো পর্যন্ত 36 জনের বয়ান রেকর্ড করেছে। এরই মধ্যে একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে সুশান্তের চিকিৎসকরা আশা করা হচ্ছে তাদের বয়ান সাহায্য করবে রহস্যের কিনারা করতে।